আপনি যদি ভারতের কোনও সংস্থায় কাজ করেন তবে আপনাকে আপনার বেতনের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ইপিএফ স্কিমে দিতে হবে। এর সাথে, আপনার নিয়োগকর্তাও একই পরিমাণ অর্থ দিয়ে থাকেন আপনার পিএফ অ্যাকাউন্টে। এই অর্থ কর্মচারীরা বা তাঁর মনোনীত ব্যক্তি জরুরি পরিস্থিতিতে বা অবসর গ্রহণের সময় ব্যবহার করতে পারেন। তবে অনেক সময়ই নিয়োগকর্তারা কর্মচারীদের পিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেন না। এরকম হলে কর্মচারী পদক্ষেপ করেতে পারেন।
1/4এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (EPFO) নিয়ম অনুসারে, কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তারা প্রতি মাসে বেসিক পে এবং ডিয়ারনেস অ্যালাউন্সের যোগফলের ১২ শতাংশ টাকা জমা করেন PF অ্যাকাউন্টে। নিয়োগকর্তার দেওয়া টাকার মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ কর্মচারীদের পেনশন প্রকল্পে (ইপিএস) যায় এবং অবশিষ্ট ৩.৬৭ শতাংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
2/4তবে নিয়োগকর্তা যদি কর্মীর পিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না করে, তাহলে কর্মচারীরা সংস্থার বিরুদ্ধে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অভিযোগ দায়ের করার পর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে। তদন্তের সময় যদি দেখা যায় যে কর্মীর বেতন থেকে ইপিএফের পরিমাণ কেটে নেওয়া হয়েছে কিন্তু তা জমা করা হয়নি, তবে সেই নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
3/4ইপিএফও-র টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থা বিলম্ব করলে সেই অর্থের উপর সুদ দিতে হতে পারে নিয়োগকর্তাকে। ইপিএফ-এর আইনের অধীনে, ভবিষ্য তহবিলে কাটা পরিমাণ জমা না করার জন্য জরিমানা ধার্য করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪০৬ এবং ৪০৯-এর অধীনে নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক বিশ্বাস লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশে মামলা দায়ের করা হতে পারে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য় মিন্ট)
4/4প্রসঙ্গত, ইপিএফও নিয়মিতভাবে এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের তাদের পিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার বিশদ তথ্য পাঠিয়ে থাকে। কর্মচারীরা ইপিএফও পোর্টালে লগইন করেও তাদের অ্যাকাউন্টের বিশদ জানতে পারেন। (ছবি সৌজন্য মিন্ট)