বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Fastest Train in British era: ব্রিটিশ আমলে ভারতের দ্রুততম ট্রেনের নাম জানেন? ২,৪৯৬ কিমি যেত মাত্র ৪৭ ঘণ্টায়!
Fastest Train in British era: ব্রিটিশ আমলে ভারতের দ্রুততম ট্রেনের নাম জানেন? ২,৪৯৬ কিমি যেত মাত্র ৪৭ ঘণ্টায়! Updated: 10 Jun 2023, 03:20 PM IST Ayan Das অধিকাংশ ভারতীয়ের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে ট্রেন আছে। যে ট্রেন ব্রিটিশ আমল থেকে ভারতে চলে আসছে। কিন্তু ব্রিটিশ আমলে ভারতের কোন ট্রেন সবথেকে দ্রুত ছুটত? সেটা জানেন কি? সেই উত্তর দিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। শুধু তাই নয়, সেই ট্রেন এখনও চলে। 1/7 সবথেকে দ্রুতগতির ট্রেন কোনটি? সেই প্রশ্নটা বরাবরই যেন মানুষের মধ্যে বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ করিয়ে এসেছে। এখন ভারতের দ্রুততম ট্রেন বললেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের নাম ভেসে ওঠে। যে ট্রেন ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে (বাণিজ্যিক পরিষেবার ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ১৬০ কিমি বেগে দৌড়ায়)। তাছাড়া ভারতের দ্রুততম ট্রেনের তালিকায় আছে রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস, দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেন। কিন্তু স্বাধীনতার আগে ভারতের দ্রুততম ট্রেন কোনটি ছিল? (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে সন্তোষ কুমার/হিন্দুস্তান টাইমস) 2/7 ভারতীয় রেলের তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটিশ আমলে ভারতের দ্রুততম ট্রেন ছিল পঞ্জাব মেল। যে ট্রেন এবার ১১১তম জন্মদিন পালন করছে। তবে প্রাথমিকভাবে সেই ট্রেনের নাম ‘পঞ্জাব মেল’ ছিল না। বরং সেই ট্রেনের নাম আসল ছিল ‘পঞ্জাব লিমিটেড’। পরবর্তীতে সেই ট্রেনের নাম হয় ‘পঞ্জাব মেল’। (ছবি সৌজন্যে ভারতীয় রেল) 3/7 ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, ১৯১২ সালের ১ জুন মুম্বইয়ে বালার্ড পায়ার মোল স্টেশন (এখন সেই স্টেশনের কোনও অস্তিত্ব নেই) থেকে রওনা দিয়েছিল তৎকালীন 'পঞ্জাব লিমিটেড'। গন্তব্য ছিল অধুনা পাকিস্তানের পেশোয়ার। উদ্বোধনী দৌড়ে P&O স্টিম ইঞ্জিনে ছুটেছিল পঞ্জাব লিমিটেড। তাতে ছিলেন ব্রিটিশ আমলের অফিসার এবং তাঁদের স্ত্রী'রা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পূর্ব রেল) 4/7 বর্তমানে যে মধ্য রেলওয়ে আছে, সেটার পূর্বসূরি ছিল 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলা রেলওয়ে' (জিআইপিআর)। যা ১৮৯৪ সালের ১ অগস্ট 'প্রাণ' পেয়েছিল। সেই 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলা রেলওয়ে' পরিষেবার হাব ছিল বালার্ড পায়ার মোল স্টেশন। সেই স্টেশন থেকেই পঞ্জাব লিমিটেড যাত্রা শুরু করেছিল। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে মিন্ট) 5/7 জিআইপি রুট ধরে মোট ২,৪৯৬ কিলোমিটারের দীর্ঘ যাত্রাপথে মাত্র পাঁচটি স্টেশনে দাঁড়াত পঞ্জাব লিমিটেড - ইটারসি, আগ্রা, দিল্লি, অমৃতসর এবং লাহোর। ওই দূরত্ব অতিক্রম করতে ৪৭ ঘণ্টা লাগত। প্রাথমিকভাবে পঞ্জাব লিমিটেডে মোট ছ'টি 'কার' বা কোচ থাকত। তিনটি কোচে যাত্রীরা যেতেন। তিনটি কোচে চিঠি পাঠানো হত। তিনটি কোচে মাত্র ৯৬ জন যাত্রী যেতে পারতেন। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে টুইটার @Central_Railway) 6/7 ১৯১৪ সাল থেকে মুম্বইয়ের বম্বে ভিটি (বর্তমান ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস) থেকে যাত্রা শুরু করত। যে ট্রেন পঞ্জাব মেল নামেই পরিচিত হয়ে যায়। নির্দিষ্ট দিনের পরিবর্তে প্রতিদিন সেই ট্রেন চালানো হতে থাকে। তারই মধ্যে ১৯৩০ সাল নাগাদ পঞ্জাব মেলে তৃতীয় শ্রেণির কোচ যুক্ত হয়। ১৯৪৫ সালে যুক্ত হয় এসি কোচ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে টুইটার) 7/7 বর্তমানে মুম্বই থেকে ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলে পঞ্জাব মেল। ১,৯৩০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে ৩২ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট লাগে। দাঁড়ায় ৫২টি স্টেশনে। আপাতত সেই ট্রেনে এসি ফার্স্ট কাম এসি টু'টিয়ার কোচ, দু’টি এসি-২ কোচ, ছ'টি এসি থ্রি-টিয়ার কোচ, ছ'টি স্লিপার কোচ, একটি প্যান্ট্রিকার এবং পাঁচটি জেনারেল কোচ আছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রেল)