মহাভারতের কাহিনী অনুসারে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে গীতার বাণী শুনেছিলেন মোট চার জন। এদের মধ্যে অর্জুন ছাড়াও রয়েছেন ৩ জন। মহাভারতের যুদ্ধে যাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জেনে নিন তাঁদের কথা।
1/5সনাতন সভ্যতার অন্যতম পবিত্র গ্রন্থ গীতা। সংসারের কর্তব্য সম্পর্কে এই গ্রন্থে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ। ভারত তো বটেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ব্যক্তিজীবনের দায়িত্ব – কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত হতে এই গ্রন্থের স্মরণাপন্ন হয়। কুরুক্ষেত্রের ময়দানে যখন রথী মহারথীরা শঙ্খ বাজিয়ে যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা করছেন ঠিক তখনই কিংকর্তব্যবিমূঢ় বীর যোদ্ধা অর্জুনকে ১৮ অধ্যায় ও ৭০০ স্লোকের গীতার বাণী শুনিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। কিন্তু জানেন কি, অর্জুন ছাড়াও শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে গীতার বাণী শুনেছিলেন আরও তিন জন?
2/5মহাভারতের কাহিনী অনুসারে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে গীতার বাণী শুনেছিলেন মোট চার জন। এদের মধ্যে অর্জুন ছাড়াও রয়েছেন ৩ জন। মহাভারতের যুদ্ধে যাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এরা হলেন সঞ্জয়, হনুমান ও বর্বরিক।
3/5মহাভারতের কাহিনী অনুসারে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে হস্তিনাপুর প্রাসাদে গিয়ে ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে দেখা করেন মুনি বেদব্যাস। সেখানে তিনি ধৃতরাষ্ট্রকে বলেন, তিনি চাইলে তাঁকে এমন বর দিতে পারেন যাতে জন্মান্ধ হয়েও প্রাসাদে বসেই ধৃতরাষ্ট্র কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ দেখতে ও শুনতে পাবেন। কিন্তু যুদ্ধের ভয়াবহতা অনুমান করে ধৃতরাষ্ট্র নিজে সেই বর নিতে অস্বীকার করেন। ও বেদব্যাসকে বলেন, তাঁর অনুচর সঞ্জয়কে যেন তিনি এই বর প্রদান করেন। বেদব্যাসের বরে হস্তিনাপুর প্রাসাদে বসেই শ্রীকৃষ্ণের মুখে গীতা শোনেন সঞ্জয়।
4/5কথিত আছে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরুর আগে পশুপত অস্ত্র সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলেন অর্জুন। তখন হনুমানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। হনুমান তাঁকে বলেন, যুদ্ধের সময় তিনি অর্জুনের রথের ওপর অবস্থান করবেন ও তাঁকে সাহায্য করবেন। সেই মতো অর্জুনের রথের ওপর কপিধ্বজ স্থাপন করা হয়। অশরীরি ভাবে সেখানে অবস্থান করেন স্বয়ং হনুমান। সেখানে বসেই তিনি শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে গীতা শোনেন।
5/5এছাড়া শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে গীতা শুনেছিলেন ঘটোৎকচের পুত্র বর্বরিক। শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশে মহাভারতের যুদ্ধ চলাকালীন নিজের শির কেটে শ্রীকৃষ্ণের হাতে তুলে দিয়েছিলেন এই যোদ্ধা। তবে শ্রীকৃষ্ণের কাছে তাঁর অনুরোধ ছিল, গোটা যুদ্ধটি দেখতে চান তিনি। অনুরোধ রক্ষা করতে বর্বরিকের কাটা মুণ্ড পর্বতের ওপর স্থাপন করেন শ্রীকৃষ্ণ। সেখান থেকে শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে গীতা শোনেন তিনি।