খসে পড়েছে জগন্নাথ দেবের গর্ভগৃহের দেওয়ালের অংশ। এই আবহে ফের একবার পুরীর মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলার আর্জি জানিয়ে আবেদন করল আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। চার বছর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে দরজা খোলা হয়েছিল পুরীর রত্ন ভাণ্ডারের। তবে সেবার ভাণ্ডার খতিয়ে দেখতে পারেনি এএসআই। তবে এবার ফের একবার পুরীর মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খুলে দেওয়ার আর্জি করল এএসআই।
1/5রত্ন ভাণ্ডার নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ কম নয়। শেষ বার এই ভাণ্ডারের সম্পদের খতিয়ান নেওয়া হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। এরপর ১৯৮৪ সালে পুরো রত্না ভাণ্ডার খোলা হয়েছিল।
2/5 এই রত্নভাণ্ডারে সাতটি ঘর রয়েছে। সামনের ঘরটি আনুমানিক ২০ বাই ২০ ফুট আয়তনের। জানা যায়, সেই ঘরে শুধু দুয়েক আলমারি আর তিন-চারটে ট্রাঙ্ক রাখা। তবে তাও এই ঘর নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই।
3/5১৯৮৪ সালে আংশিকভাবে পরিদর্শন করা হয়েছিল এই রত্ন ভাণ্ডার। ভাণ্ডারের সাতটি কক্ষের মধ্যে তিনটি খোলা হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে, এএসআই কিছু মেরামতের কাজ করার জন্য মন্দিরের ভিতরের কক্ষটি খোলার চেষ্টা করেছিল। তবে মাত্র দুটি ঘর খোলা সম্ভব হয়েছিল।
4/5১৯২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুরীর রাজা গজপতি রামচন্দ্র দেবের তৈরি করা একটি তালিকা অনুসারে, জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার সোনার মুকুট সহ ১৫০টি সোনার অলঙ্কার সহ ৮৩৭টি জিনিস রয়েছে এই ঘরে। সোনার অলঙ্কারগুলির মোট ওজন ১৫ কেজির বেশি।
5/5মন্দিরের কোষাগারে রয়েছে সোনার হার, মূল্যবান রত্ন পাথর, সোনার থালা, মুক্তা, হীরা, প্রবাল ও রৌপ্য সামগ্রী। জগন্নাথ মন্দির আইন অনুযায়ী, রত্ন ভাণ্ডার প্রতি তিন বছর পর পর অডিট করা প্রয়োজন। তবে রাজনৈতিক কারণে কোনও সরকার এই কাজে হাত লাগায়নি।