কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলো রেশন কার্ডধারীদের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার যোগ্য বলে মনে করে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে থাকেন। যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল, অর্থাৎ তারা দারিদ্র্যসীমার মধ্যে আসেন না, অনেক সময় তারাও রেশন কার্ডধারক হওয়ার দরুণ সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাই এই আবহে সুবিধাভোগীদের সংখ্যায় লাগাম টানতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
1/4জানা গিয়েছে, দারিদ্র্যসীমার মান পরিবর্তন করতে চলেছে সরকার। এই আবহে দারিদ্র্যসীমার তালিকা থেকে অনেকের নাম বাদ পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শীঘ্রই, নতুন যোগ্যতার মাপকাঠি জারি করা হবে সরকারের তরফে। যারা প্রতারণামূলক উপায়ে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন, তাদের সংখ্যায় লাগাম টেনে ধরতেই এই পদক্ষেপ সরকারের।
2/4বর্তমানে, সরকার দাবি করছে যে ৮০ কোটি মানুষ ভারতীয় জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের সুবিধা নিচ্ছেন। নতুন যোগ্যতার মাপকাঠি আসার পর এই সংখ্যা অনেকটাই বদলে যাবে। সরকারের দাবি, এই ৮০ কোটি সুবিধাভোগীর মধ্যে অনেকেই এই প্রকল্পের অযোগ্য।
3/4কেন্দ্রীয় সরকার-রাজ্য সরকার অনেক প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার জন্য দারিদ্র্যসীমাকে ভিত্তি করে থাকে। এই আবহে, এই তালিকা পরিবর্তনের পর এই ‘ভুয়ো গরিবরাও’ সরকারের শতাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। এখন সরকার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল মানুষদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়া বন্ধ করবে।
4/4নতুন মান কার্যকর করার পর সরকার শীঘ্রই যোগ্য সুবিধাভোগীদের নাম প্রকাশ করতে পারে। যে রেশন কার্ডধারীরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে তাদের কী হবে? এই বিষয়ে এখনও কোনও আপডেট নেই। তবে খন নতুন মান প্রয়োগ হবে তখন নিশ্চয় সরকারের তরফে কিছু তথ্য দেওয়া হতে পারে।