Kolkata Doctor Father's 10 questions: চাপ দিয়ে দেহ দাহ, টাকার অফার পুলিশের- RG করে কোন ১০ বিস্ফোরক প্রশ্ন তুললেন বাবা?

Updated: 05 Sep 2024, 07:03 AM IST Ayan Das

হাসপাতাল, পুলিশ, প্রশাসন- আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে বসে মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ১০টি বিস্ফোরক প্রশ্ন করলেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা। কী কী প্রশ্ন করলেন? আর সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে সরকার?

1/11তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘আমরা জানতে পারছি, আরজি কর হাসপাতালে পুলিশের যে আউটপোস্ট আছে, সেখানে সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে আমার মেয়ের এরকম পরিণতির খবর যায়। তারপরও কিন্তু ওরা আমার মেয়ের কোনও শারীরিক পরীক্ষা করেনি। যেটা তাদের প্রথম কাজ ছিল, সেটা তারা করেনি।’ (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

2/11তিনি বলেন, ‘সকাল ১১ টায় আমাদের জানানো হয় যে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তারা কোনও মেডিক্যাল টেস্ট করল না। তারা আগেই বলে দিল যে আত্মহত্যা করেছে। আমাদের মেয়েকে দেখতে আমরা বেলা ১২ টা ১০ মিনিটে হাসপাতালে এসেছিলাম।’ (ছবি সৌজন্যে এএফপি)

3/11তিনি তৃতীয় যে প্রশ্ন করেন, সেটা হল, ‘মেয়ের মুখ দেখতে দেওয়ার জন্য আমাদের ওই সেমিনার হলের বাইরে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছিল এবং মেয়ের মা পুলিশের হাতে-পায়ে ধরতে শুরু করেছিল। ভিতরে তখন লোকজন ঘোরাঘুরি করছিল। আমাদের কিন্তু ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটা কী কারণে? এই প্রশ্নটার উত্তর চাই আমার।’ (ছবি সৌজন্যে এএফপি)

4/11তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, 'পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) করতে এত দেরি কেন করল হাসপাতাল? পোস্টমর্টেম তো বিকেল পাঁচটার মধ্যে করা উচিত ছিল। কিন্তু দেখা গেল যে সন্ধ্যা ছ'টার আগে পোস্টমর্টেম হল না। সন্ধ্যা ছ'টা থেকে শুরু হল।' (ছবি সৌজন্যে, সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

5/11তিনি বলেন, ‘আমি সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে টালা থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলাম। পরে দেখতে পাচ্ছি যে আমার এফআইআর নথিভুক্ত হল রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে। এখানে এত ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও, পুলিশ এত কিছু জানা সত্ত্বেও পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল। ডায়েরি করল। কী কারণে? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ - কেউ এফআইআর করেনি। যেটা সবার আগে দরকার ছিল। করেনি।’ (ছবি সৌজন্যে, সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

6/11আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘বেলা ১২ টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল চত্বরে ছিলাম আমরা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ - কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। একটা কথাও বলেনি।’ (ছবি সৌজন্যে, সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

7/11তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উপরে এত প্রেশার তৈরি করা হয়েছিল....। আমরা টালা থানায় গিয়েছিলাম। টালা থানায় আমরা এক ঘণ্টা বসেছিলাম। ৩০০-৪০০ পুলিশকর্মী আমাদের ঘিরে রেখে সেখানে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছিল যে বাধ্য হয়ে আমরা বাড়িতে ফিরে যাই।’ (ছবি সৌজন্যে, সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

8/11সেইসঙ্গে তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, 'বাড়িতে গিয়ে দেখি যে আমার বাড়ির সামনে ব্যারিকেড করে ৩০০-৪০০ পুলিশকর্মী দাঁড়িয়ে আছেন। সেই অবস্থায় আমাদের আর কিছু করার ছিল না। আমরা মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হয়েছিলাম।’ (ছবি সৌজন্যে, সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

9/11শ্মশানে সৎকারের জন্য খরচের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানেও একটা প্রশ্ন। আমার মেয়ে সেদিন মারা গিয়েছে। আমার মেয়ের শ্মশানের খরচটা ফ্রি করে দিয়েছে। কারা? আমরা জানতে পারিনি আজ পর্যন্ত। কেন করা হয়েছে? আমার মেয়ের আত্মা খুব কষ্ট পেয়েছে। যাওয়ার সময় ভেবেছে যে আমার বাপি এইটুকু টাকা খরচ করতে পারল না। আমার কাছে কী মর্মান্তিক ছিল সেই দিনটা। এই প্রশ্নের উত্তরটা আমায় কে দেবে?’ (ছবি সৌজন্যে, সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

10/11পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে তরুণী চিকিৎসকের বাবা প্রশ্ন করেন যে কেন তাঁকে টাকা দেওয়া হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘যখন আমার মেয়ের দেহ আমার ঘরে শায়িত ছিল, তখন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) আমাদের ঘরের একটা গলিতে ঢুকে ঘরের ভিতরে তিনি আমায় টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তার যে জবাব দেওয়ার, সেটা আমরা সঙ্গে-সঙ্গে দিয়ে দিয়েছিলাম।’ (ছবি সৌজন্যে এপি)

11/11বারবার সাংবাদিক বৈঠক করে মিথ্যা কথা বলছেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। মিথ্যাচার করছেন। কারণটা কী? কী কারণে তাঁরা এরকম করছেন? তা নিয়ে আমাদের মনে সবসময় প্রশ্ন আসছে। আমার এসব প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? পুলিশ? প্রশাসন? নাকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?’ (ছবি সৌজন্যে, সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস এবং পিটিআই ফাইল)

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

Kolkata Doctor Father's 10 questions: চাপ দিয়ে দেহ দাহ, টাকার অফার পুলিশের- RG করে কোন ১০ বিস্ফোরক প্রশ্ন তুললেন বাবা?

Latest News

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি