৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট বদলে নিতে নির্দেশিকা জারি করেছে আরবিআই। আগামিকাল থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর কি ২০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যাবে বা অবৈধ হয়ে যাবে? এই নিয়ে সরকারের তরফে স্পষ্ট জবাব দেওয়া হয়েছে।
1/6৩০ সেপ্টেম্বরের পর ২০০০ টাকার নোট অবৈধ হয়ে যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে সাধারণ মানুষ। অনেকের মনেই এই নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, ২০১৬ সালের নোট বাতিলের পর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এমনকী ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর যদি কারও কাছে ১০-এর বেশি ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট পাওয়া যেত, তাহলে আইনি পদক্ষেপও করা হত বলে ঘোষণা করেছিল সরকার। এবারও কি তাই হবে? (PTI)
2/6৩০ সেপ্টেম্বরের পর যদি কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থেকে যায়, তাহলে কি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে? সরকারের তরফে অভয় প্রদান করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০০০ টাকার নোটতে অবৈধ ঘোষণা করা হয়নি। এই আবহে ৩০ সেপ্টেম্বরের পরও যদি কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থেকে থাকে, তবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা হবে না। (PTI)
3/6এর আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, ঠিক রাত ৮টার সময় নোটবাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েক মিনিটেই গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। বাতিল করা হয়েছিল সেই সময়ের ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট। বলা হয়েছিল, ভুয়ো টাকা এবং কালো টাকার রমরমা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ। (PTI)
4/6পরবর্তীতে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল। গতকাল রাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া একটি নির্দেশিকা জারি করে নতুন ২০০০ টাকার নোট ফেরানোর ঘোষণা করে। তবে ২০১৬ সালের মতো এবার তাড়াহুড়ো লাগবে না। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় মিলবে ২০০০ টাকার নোট বদলে নেওয়ার বা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য। (PTI)
5/6২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকবার গুজবও রটেছে যে ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছে। তবে এবার আরবিআই এই ২০০০ টাকার নোটের 'ব্যাঙ্ক ওয়াপসি'র ঘোষণা করল। তবে আগেরবারের মতো এই 'নোটবন্দি' আচমকা হচ্ছে না। তাই সাধারণ মানুষের তত কষ্ট হবে না বলেই আশা। তাছাড়া সাধারণ মানুষের হাতে এখন সেই অর্থে তত সংখ্যক ২০০০ টাকার নোট নেই। এমনি বাজারে ২০০০ টাকার নোট প্রায় দেখাই যায় না আর। (PTI)
6/6বর্তমানে বাজারে প্রচলিত টাকার মধ্যে মাত্র ১০.৮ শতাংশ মূল্যের নোট হল ২০০০ টকার। লেনদেনের ক্ষেত্রে ২০০০ টাকার নোটের চাহিদা কম। এটি বন্ধ হলে লেনদেনে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তবে আরবিআই-এর এই পদক্ষেপকে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য হাতিয়ার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (PTI)