এক ‘সন্তানের’ নাম সচিন। কারও নাম আবার ‘মোদী’, 'ঐশ্বর্য'। আছে ‘আনারকলি’। শুধু তাই নয়, ৩০০-র বেশি ‘সন্তানের বাবা’ হলেন উত্তরপ্রদেশের এই ব্যক্তি। তিনি বলেন, 'দশকের পর দশক ধরে প্রখর রোদের মধ্যে কাজ করে যাওয়ার পুরস্কার এটা।' বিষয়টি দেখে নিন -
1/9কারও নাম 'সচিন', কারও নাম 'ঐশ্বর্য'। আর এরকমই প্রায় ৩০০ 'সন্তানের' সৃষ্টিকর্তা হলেন উত্তরপ্রদেশের বৃদ্ধ কলিম উল্লাহ খান। সেই ৮২ বছরের ব্যক্তির সেই 'সন্তানরা' হল আদতে আম। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
2/9উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মালিহাবাদে বাগান আছে কলিমের। যিনি এলাকায় ‘ম্যাঙ্গো ম্যান’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাগানের 'স্টার' হল ১২০ বছরের একটি গাছ। যে গাছ থেকে প্রায় ৩০০ প্রজাতির আম পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন কলিম। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
3/9কলিম জানান, স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে দিয়েছিলেন। তবে ছেলেবেলা থেকেই আমের প্রতি টান ছিল। তারইমধ্যে কৈশোর থেকে তারুণ্যে পা দেওয়ার আগে আম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
4/9৮২ বছরের ‘ম্যাঙ্গো ম্যান’ জানান, একটি আম গাছের বিভিন্ন অংশ জুড়ে-জুড়ে আমের নয়া প্রজাতি তৈরি করতে থাকেন। সেভাবেই একটি গাছে সাত রকমের আম তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তা ঝড়ে পড়ে যায়। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
5/9সেখানেই হাল ছাড়েননি কলিম। তিনি জানান, ১৯৮৭ সাল থেকে একটি বিশেষ গাছে নিজের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। এখন যে গাছের (৩০ ফুট লম্বা) বয়স ১২০। তাতে ৩০০-র বেশি রকমের আম ফলিয়েছেন কলিম। প্রতিটির আকার, স্বাদ, রং আলাদা রকমের হয়। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
6/9কলিম জানান, একটি প্রজাতির আমের নাম রেখেছেন ‘ঐশ্বর্য’। ১৯৯৪ সালের মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নামে সেই আমের নামকরণ করেন। যা এখনও পর্যন্ত তাঁর অন্যতম সেরা সৃষ্টি বলে দাবি করেছেন কলিম। তিনি বলেন, ‘অভিনেত্রীর মতোই সুন্দর হল এই আম। একটি আমের ওজন এক কিলোগ্রামেরও বেশি।’ খেতেও অত্যন্ত মিষ্টি বলে দাবি করেছেন কলিম। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
7/9কলিমের গাছে ‘সচিন’ আমও আছে। তিনি বলেছেন, ‘লোক আসবেন, যাবেন। কিন্তু আম চিরকাল থেকে যাবে। যখনই কেউ সচিন আম খাবেন, তখনই ক্রিকেট জগতের নায়কের কথা মনে করবেন।’ (ছবি সৌজন্যে এএফপি)vv
8/9শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সম্মান জানিয়েও আমের নামকরণ করেছেন কলিম। আছে ‘আনারকলি’ আমও। তাছাড়া আরও ভিন্ন-ভিন্ন নামের আম আছে। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
9/9কলিম বলেন, 'দশকের পর দশক ধরে প্রখর রোদের মধ্যে কাজ করে যাওয়ার পুরস্কার এটা।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'খালি চোখে এটা নেহাত একটি গাছ। কিন্তু মনের দৃষ্টি দিয়ে দেখলে, এটা একটা গাছ, একটি বাগান এবং বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষায়তন।' (ছবি সৌজন্যে এএফপি)