গরু পাচারকাণ্ডে সায়গলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে তাতে অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে। সিবিআই তদন্তকারীদের দাবি, কেষ্টর হয়েই টাকা নিতেন তাঁর দেহরক্ষী। সেভাবেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন সায়গল। এখনও পর্যন্ত কেষ্টর দেহরক্ষীর থেকে কী কী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা?
1/5ডোমকলে ৩৬টি জমির প্লট (বাজার দর ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা), বোলপুরে ৭ টি জমির প্লট (বাজার দর ১ কোটি ৫ লাখ টাকা), সিউড়িতে ৭টি জমির প্লট (বাজারদর ৭২ লাখ টাকা), বীরভূমের অন্যত্র পাঁচটি জমির প্লট (বাজার দর ৮৫ লাখ টাকা)
2/5নিউটাউন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট (বাজার দর ১০ লাখ), বিমানবন্দর নিউটাউন এলাকায় ৩টি ফ্ল্যাট (বাজার দর ৬০ লাখ টাকা), ইলামবাজারে একটি পেট্রোল পাম্প, ২টি লরি, ৩৭ লাখ টাকার গয়না এবং সাড়ে চার লাখ টাকা নগদ
3/5এছাড়া শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলাতেই জমির ৬০টি দলিল উদ্ধার হয়েছে সায়গলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। কী ভাবে রাজ্য পুলিশের একজন কন্সটেবল এত টাকার সম্পত্তি করলেন তা তদন্ত করতে গিয়ে নাম উঠে এসেছে অনুব্রতর।
4/5২০১৫ সালে ইলামবাজার হাট থেকে গরুপাচারের কারবার শুরু করে এনামুল হক। গোয়েন্দাদের দাবি, এনামুলের কাছে মাসে ২ কোটি টাকা করে ‘প্রোটেকশন মানি’ দাবি করেন অনুব্রত। তিন মাসের টাকা একবার অনুব্রতর কাছে পৌঁছে যেত সায়গলের হাত ধরে। সেই টাকার ভাগ পেতেন পুলিশ আধিকারিকরাও।
5/5সিবিআই-এর ৮০ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ৪৫টি সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে। এই আবহে অনুব্রতর মেয়ের উপরও নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বাবার সঙ্গে কটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে সুকন্যার? তাঁর নামে কত সম্পত্তি? এদিকে জানা গিয়েছে, কেষ্টর পরিচিত বেশ কয়েকজনের নামে সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এই ব্যক্তিদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।