এতদিন প্রয়াগরাজের জাদুঘরে রাখা ছিল একটি সোনার রাজদণ্ড। সেই রাজদণ্ডই এবার প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হবে দেশের নতুন সংসদভবনে। এই সোনার রাজদণ্ডের একটি ইতিহাস রয়েছে। ভারতের স্বাধীনার অধ্যায়ে এই রাজদণ্ডের এক বিশাল বড় ভূমিকা রয়েছে।
1/5১৯৪৭ সালে যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করে, তখন স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে এই সেঙ্গল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহলরলাল নেহরুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন। এই সোনার রাজদণ্ডটি এতদিন রাখা ছিল এলাহাবাদ জাদুঘরে। তবে আগামী ২৮ মে এই রাজদণ্ডটি নতুন সংসদভবনে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
2/5নতুন সংসদভবনে সেঙ্গল প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা করেন অমিত শাহ। তিনি বেন, এই সেঙ্গল সেই অনুভূতি এনে দেবে, যা ১৯৪৭ সালের ১৪ অগস্টে জওহরলাল নেহরু পেয়েছিলেন। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেঙ্গলকে নতুন সংসদ ভবনে প্রষ্টিত করার আগে তা এক শোভায্ত্রার মাধ্যমে নিয়ে আসা হবে। এই গোটা অনুষ্ঠানটি তামিল রীতি মেনে করা হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই সেঙ্গলটি লোকসভা স্পিকারের আসনের পাশে প্রতিষ্ঠিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
3/5জানা গিয়েছে, যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী নতুন সংসদ ভবনে এই সেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত করবেন, তখন বেশ কয়েকজন তামিল সঙ্গীতজ্ঞ 'নদস্বরম' নামক এক বাদ্যযন্ত্র বাজাবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে সেই রাজদণ্ড থাকবে, তখন মোদীর পাশাপাশে সেই সঙ্গীতজ্ঞরাও হাঁটবেন। সেই সময় লোকসভায় উপস্থিত থাকবেন তামিল শৈব মঠের পুরোহিতরা। সেই পুরোহিতরা পবিত্র জল ছিটিয়ে দেবেন সেঙ্গলের ওপর। সেই সময় তামিল গায়করাও রীতি মেনে গান গাইবেন।
4/5উল্লেখ্য, ‘সেঙ্গল’ শব্দটি তামিল শব্দ ‘সেম্মাই’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘ন্যায়’। এর আগে দক্ষিণের চোলা রাজবংশে এভাবে রাজদণ্ড প্রদান করে রাজ্যাভিষেক হত বা ক্ষমতা হস্তান্তর হত। লর্ড মাউন্টব্যাটেন যখন নেহরুকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রকীক নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন এই সেঙ্গল হস্তান্তরের কথা ওঠে। নেহরু এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সি রাজাগোপালচারীকে। তখন এই তামিল ঐতিহ্যের কথা নেহরুকে জানিয়েছিলেন 'রাজাজি'। সেই প্রথা মেনেই পরে ভারতের ক্ষমতার ভার ব্রিটিশদের থেকে নেহরুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মাউন্টব্যাটেন।
5/5এই রাজদণ্ডটি তৈরি তৈরি করা হয়েছিল তামিলনাড়ুতেই। রাজাগোপালচারী এই সেঙ্গল তৈরির জন্য ‘তিরুভাদুথুরাই আথিনাম’ মঠের গুরুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পরে ভুমিদি বঙ্গারু চেট্টার নামক এক জহুরিকে এই সেঙ্গল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় মঠের তরফে। এই সেঙ্গলটি পাঁচ ফুট উঁচু। এর মাথায় আছে ন্যায়বিচারের প্রতীক তথা শিবের বাহন ‘নন্দী’।