ব্যক্তিগত জীবনে কতটা হস্তক্ষেপ করতে পারে সরকার? প্রশ্নটা এটাই ছিল। এর জাবাব খুঁজতে গিয়ে কম বিচর্ক হয়নি দক্ষিণ কোরিয়ায়। তবে এক উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিয়ে সেদেশের সরকার জানিয়ে দিল এবার থেকে পূর্ণ মানব দেহের আকারের সেক্স ডল আমদানিতে আর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে না।
1/5প্রসঙ্গত, এতদিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় সেক্স ডলের ওপর সরকারি ভাবে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল না। তবে সেক্স ডল আমদানি করা হলেই সেদেশের শিল্ক বিভাগ তা বাজেয়াপ্ত করে ফেলত। 'দেশের ঐতিহ্য এবং নৈতিকতা রক্ষার্থে' এই কাজ করা হত বলে জানাত শুল্ক দফতর। এই নিয়ে প্রচুর মামলা হয় সেদেশের আদালতে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আবগারি দফতরকে বাজেয়াপ্ত করা সেক্স ডল ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। আদালতের বক্তব্য, কে সেক্স ডল ব্যবহার করছে, কে করছে না, তা পুরোপুরি ব্যক্তিগত বিষয়।
2/5এই আবহে সোমবার কোরিয়ার শুল্ক দফতরের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাম্প্রতিককালে আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে এখন থেকে আর কোনও সেক্স ডল আমদানি রোখা হবে না। পাশাপাশি শুল্ক দফতরের তরফে জানানো হয়, দেশের লিঙ্গ সমতা মন্ত্রকের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
3/5তবে শুল্ক দফতের তরফে জানানো হয়েছে, যদি সেক্স ডল দেখতে অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণীর মতো হয়, সেই ক্ষেত্রে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার শুল্ক দফতর জানায়, আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়ার মতো অন্যান্য দেশেও শিশুর মতো দেখতে সেক্স ডল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। বিবৃতিতে শুল্ক দফতর জানিয়েছে, পূর্ণাবয়ব প্রাপ্তবয়স্ক সেক্স ডল আমদানির ক্ষেত্রে দেশে সংশোধিত গাইডলাইন লাগু করা হয়েছে।
4/5অভিযোগ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন নাগরিকদের ব্যক্তিগত জীবনের লাগাম কিছুটা হলেও নিজেদের হাতে রাখতে চায়। তবে সেক্স ডল সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তের পর এই নিয়ে অভিযোগ কিছুটা কতে পারে। যদিও এতে সুর চড়াতে পারে রক্ষণশীল এবং নারীবাদীরা। এদিকে কেয়ার'ন'শেয়ার নামক যে সংস্থা দক্ষিণ কোরিয়ায় সেক্স ডল আমদানি করে, তারা শুল্ক দফতরের সমালোচনা করে বলেছে, 'যদি অনুমোদন দিতেই হত, তাহলে এত দেরিতে কেন?' তারা অভিযোগ করে, করদাতাদের টাকা খরচ করে এত মামলা বিবাদের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
5/5অভিযোগ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন নাগরিকদের ব্যক্তিগত জীবনের লাগাম কিছুটা হলেও নিজেদের হাতে রাখতে চায়। তবে সেক্স ডল সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তের পর এই নিয়ে অভিযোগ কিছুটা কতে পারে। যদিও এতে সুর চড়াতে পারে রক্ষণশীল এবং নারীবাদীরা। এদিকে কেয়ার'ন'শেয়ার নামক যে সংস্থা দক্ষিণ কোরিয়ায় সেক্স ডল আমদানি করে, তারা শুল্ক দফতরের সমালোচনা করে বলেছে, 'যদি অনুমোদন দিতেই হত, তাহলে এত দেরিতে কেন?' তারা অভিযোগ করে, করদাতাদের টাকা খরচ করে এত মামলা বিবাদের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।