1/11অনেকেই রোজ বাজারে যেতে ভালোবাসেন না, বা হাতে অত সময়ও থাকে না। তাই একবারে অনেক দিনের বাজার করে এনে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেন। কিন্তু কোনও কোনও খাবার ফ্রিজে রাখা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। দেখে নিন, কোন কোন খাবার ফ্রিজে রাখতে নেই।
2/11১। পাউরুটি: ফ্রিজে তিন-চার দিনের বেশি রাখলে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বরং বাইরেই রাখুন। আর বাজার থেকে কেনার পরে দ্রুত খেয়ে নিন। দরকার হলে অল্প অল্প করে কিনুন।
3/11২। মধু: এতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা স্বাভাবিক পরিবেশেই কয়েক বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। ফলে খাঁটি মধু ফ্রিজে রাখতে হয় না।
4/11৩। সস বা চাটনি: এতে কিছুটা ভিনিগার মেশানো থাকে। বাড়িতে তৈরি চাটনিতেও তাই। এগুলি ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। বরং বাইরে রাখুন। বাড়িতে তৈরি চাটনি যত তাড়াতাড়ি পারুন খেয়ে শেষ করে ফেলুন।
5/11৪। পেঁয়াজ: এটি ফ্রিজে রাখলে তার গন্ধ অন্য খাবারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া পেঁয়াজের কোষের মধ্যে সালফোক্সাইড থাকে, সেটি পেঁয়াজকে পচে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তাই পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখার দরকার হয় না।
6/11৫। টমেটো: ফ্রিজে যে তাপমাত্রা থাকে, তা গরমের দেশে উৎপাদিত হওয়া টমেটোর জন্য মোটেই ঠিক নয়। বরং ওই তাপমাত্রায় টমেটো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
7/11৬। আলু: ফ্রিজে আলু রাখলে তার স্বাদ এবং গুণ— দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এটি ফ্রিজে ঢোকাবেন না। বরং স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই রাখুন।
8/11৭। কফি: অনেকে ভাবেন, কফি শীতের পানীয়। তাই গরমে কফি কিনলে তাঁরা ফ্রিজে রাখেন। যদিও এটি ঠিক নয়। এতে কফির স্বাদ-গন্ধ নষ্ট হয়।
9/11৮। রান্নার তেল: খুব বেশি মানুষ যদিও এমন কাজ করেন না। তবু অনেকে করেন। রান্নার তেল অর্থাৎ ভোজ্য তেল তাঁরা ফ্রিজে রেখে দেন। এটি মোটেই ঠিক কাজ নয়।
10/11৯। কলা: ফ্রিজে কলা রাখলে, তা দ্রুত পেকে যায়, এবং পচে যায়। ঘরের তাপমাত্রায় এটি নির্দিষ্ট সময়ে পাকে। কিন্তু ফ্রিজে রাখলে বেশি আর্দ্রতা কলা তাড়াতাড়ি পচিয়ে দেয়।
11/11১০। আদা: এটি ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। তবে বিশেষ নিয়ম মেনে। এর খোসা ছাড়াবেন না। আর এটি এয়ারটাইট কোনও পাত্রে রাখবেন। নাহলে এর গন্ধ অন্য খাবারে মিশে যেতে পারে।