বাংলা নিউজ > ছবিঘর > Significance of Chandrayaan 3 Second Landing: চাঁদের থেকে কেন 'টেক-অফ' করল বিক্রম? দ্বিতীয় সফট ল্যান্ডিংয়ের তাৎপর্য কী?

Significance of Chandrayaan 3 Second Landing: চাঁদের থেকে কেন 'টেক-অফ' করল বিক্রম? দ্বিতীয় সফট ল্যান্ডিংয়ের তাৎপর্য কী?

Updated: 04 Sep 2023, 03:20 PM IST Abhijit Chowdhury

দ্বিতীয়বারের জন্য চাঁদে অবতরণ করল বিক্রম। চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ঘুমোতে যাওয়ার আগে ইসরোর তরফে তাকে পরীক্ষায় বসানো হয়। সেই পরীক্ষায় আশাতীত ফল করেছে বিক্রম। এই সাফল্যের তাৎপর্য কী? তা নিয়েও মুখ খুলেছে ইসরো।

1/6আজ সকালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের মাটি থেকে শূন্য ওড়ানো হয় বিক্রমকে। চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডারের সঙ্গে থাকা ইঞ্জিনকে চালু করা হয়। এরপর সেই ল্যান্ডারকে প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় ওড়ানো হয়। লাফ দিয়ে আগের জায়গায় থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার দূরে সফল ভাবে অবতরণ করে বিক্রম। এই পরীক্ষা সফল হওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।   (Hindustan Times)
2/6ইসরো জানিয়েছে, নিজের মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়ে সফল হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সফল ভাবে 'হপ এক্সপেরিমেন্ট' সম্পন্ন করেছে বিক্রম। অর্থাৎ, চাঁদের মাটি থেকে লাফিয়ে উঠে দ্বিতীয়বারের জন্য সফল ভাবে সফট ল্যান্ডিং বা অবতরণ করল বিক্রম। এই সাফল্যের সুদূরপ্রসরিত তাৎপর্য রয়েছে, যা নিয়ে আভাস দিয়েছে ইসরো।  (Hindustan Times)
3/6প্রসঙ্গত, গত ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। তারপর থেকে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে সেটি। ভবিষ্যতেও সেই এলাকাতেই দাঁড়িয়ে থাকবে সে। এরই মাঝে ঘুমের সময় হয়ে এসেছে বিক্রমের। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নেমে আসার আগে অক্লান্ত ভাবে নিজের কাজ করে গিয়েছে বিক্রম। শুধু তাই নয়। ইসরো জানিয়েছে, অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়ে কাজ করেছে বিক্রম।   (Hindustan Times)
4/6বিক্রমে রয়েছে 'চন্দ্র সারফেস থার্মো-ফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট' বা ChaSTE নামক একটি পেলোড। যা চাঁদের তাপমাত্রা খতিয়ে দেখেছে। তাছাড়া বিক্রমে রয়েছে লুনার সেসমিক অ্যাক্টিভিটি প্রোব বা ILSA নামক একটি পেলোড। এই ইলসা-র সেন্সর মহাজাগতিক গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রেখেছে। এছাড়া বিক্রমে রয়েছে লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে, রেডিও অ্যানাটমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার বা 'রম্ভা'। রম্ভা চাঁদের মাটিতে থাকা প্লাজমার ঘনত্ব মেপছে। বিক্রমের সব যন্ত্রই সঠিক ভাবে কাজ করেছে এখনও পর্যন্ত।   (Hindustan Times)
5/6এই আবহে বিক্রমের 'হপ এক্সপেরিমেন্ট' নিয়ে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে চাঁদে মানব অভিযান করলে তার সাফল্যের জন্য এই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এরপরে যদি চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়ে তা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়, তার জন্যও এই পরীক্ষা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিক্রমের ক্যামেরা থেকেই এই 'হপ এক্সপেরিমেন্ট'-এর একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছে ইসরো।  (Hindustan Times)
6/6উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে মহাকাশযান অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নামতে বাকি হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। আর একবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নামলে আর কাজ করতে পারবে না ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। এই পরিস্থিতিতে প্রজ্ঞানকে ইতিমধ্যেই ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রজ্ঞান ও বিক্রম সৌরশক্তি চালিত। তাই অন্ধকার নামলে এটি আর কাজ করতে পারবে না। আর বিক্রমকে ঘুম পাড়ানোর আগে ফের পরীক্ষায় বসাল ইসরো।  (Hindustan Times)