ওপেনারদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, তিনটি রান-আউট, ভুল পরিকল্পনা, কমনওয়েলথ গেমস ক্রিকেটের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হারের পিছনে এমনই সব বিষয়গুলিকে দায়ি করা যায়।
1/5নাগালের মধ্যে ছিল অস্ট্রেলিয়ার ঝুলিয়ে দেওয়া টার্গেট। ভারতের দরকার ছিল জমাট শুরু। দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন স্মৃতি মন্ধনা। তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অবিবেচকের মতো কাজ করে বসেন মন্ধনা। ইনিংসের শুরুতেই অফ-স্টাম্পে সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। অকারণে খারাপ শট খেলতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে ভারতকে চাপে ফেলে দেন মন্ধনা।
2/5একে তো মন্ধনা খারাপ শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই দায়িত্বজ্ঞনহীনের মতো কাজ করে বসেন শেফালি বর্মা। এমন হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ জিততে হল যে দুই ওপেনারের কোনও একজনকে দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে হতো, সেটা আর যেই বুঝুন না কেন, শেফালির মাথায় ছিল না। নাহলে একই ওভারে বল আকাশে তুলে জীবনদান পাওয়ার পরে ফের সেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে আউট হতেন না তিনি। দুই ওপেনার সস্তায় আউট হওয়ায় ভারতের রান তাড়া করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
3/5এমন বড় ম্যাচ জিততে হলে ভাগ্যের একটু সাহায্যেরও দরকার হয়। বরং ভারতকে এদিন দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হয় বলা যায়। হরমনপ্রীত কউর অসাধারণ ব্যাট করছিলেন। তিনি ক্রিজে টিকে থাকলে ভারত হাসতে হাসতে চ্যাম্পিয়ন হতে পারত। তবে তিনি যেভাবে আউট হন, তা ভারতীয় সমর্থকদের হতাশ করবে নিশ্চিত। হরমনপ্রীতের খেলা স্কুপ শটে বল গিয়ে লাগে তাঁরই হেলমেটে। ফলে উইকেটকিপারের মাথার উপর দিয়ে বাউন্ডারিতে যাওয়ার বদলে বল ভেসে যায় হাওয়ায়। হিলি ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি।
4/5তিন তিনটে রান-আউটের মাশুল দিতে হয় ভারতকে। স্নেহ রানা, রাধা যাদব ও মেঘনা সিং রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। হাতে উইকেট থাকলে সাহসী শট খেলা যায়। তিনজন ব্যাটার রান-আউট হওয়ায় ভারতকে অল-আউট হয়ে যেতে হয় ৩ বল আগেই। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালানোও সম্ভব হয়নি ভারতের পক্ষে।
5/5বোলিং পরিবর্তন নিয়ে হরমনপ্রীতের কিছু ভুল সিদ্ধান্তও অস্ট্রেলিয়াকে সুবিধা করে দেয়। মেঘনা সিং মন্দ বোলিং করেননি। তিনি ২ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করনে। তা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া যখন পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে, তেমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজে বল করতে গিয়ে ১৭ রান খরচ করেন হরমনপ্রীত। মেঘনাকে আর বল না দিয়ে পূজাকে দিয়ে এক ওভার বল করান তিনি। সেই ওভারে ১২ রান ওঠে। সুতরাং পঞ্চম বোলারের বিকল্প আমদানি করতে গিয়ে ২ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ভারত, যা অস্ট্রেলিয়াকে দেড়শো রানের গণ্ডি টপকে যেতে সাহায্য করে।