শেষ পাঁচটি ডার্বিই জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যাই হোক, মাথা ঘামাচ্ছেন না এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। বরং প্রায় আড়াই বছর পর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলা ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর বিষয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিন্ত ফেরান্দো। আর একই কথা বলছেন তাঁর দলের ফুটবলাররাও।
1/5ডুরান্ডে এখনও জয়ের খাতা খুলতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। একটি ম্যাচ চারা হেরেছে। একটিতে হেরেছে। তবে ডুরান্ডের ডার্বিতে জিততে মরিয়া সবুজ মেরুন ব্রিগেড। জনি কাউকো যেমন বলেছেন, ডুরান্ডের আগের ম্যাচগুলো জিততে না পারলেও, ডার্বির গুরুত্ব আলাদা। আর তাঁরা ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে মরিয়া হয়ে রয়েছেন।
2/5কাউকো বলেছেন, ‘ডার্বির গুরুত্ব আমি জানি। গোয়ায় যখন ডার্বি খেলছি তখনই সমর্থকদের থেকে সোশ্যাল মাধ্যমেই যা শুভেচ্ছা বা আব্দার পেয়েছি, তাতে কলকাতায় এই ম্যাচটা যে স্পেশ্যাল সেটা জানা হয়ে গিয়েছে। আর এ বার তো মাঠ ভর্তি সমর্থক থাকবে আমাদের। এটাই তো আলাদা মোটিভেশন তৈরি করে দেবে। ডুরান্ডের শেষ দু'টি ম্যাচে জিতিনি, নিজেরা গোলের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি বলে। যে কোনও দেশেই ডার্বি সব সময় বিশেষ ম্যাচ হয়। তা সে ফিনল্যান্ড হোক বা কলকাতা, সব জায়গাতেই গুরুত্ব এক।’
3/5কাউকো আরও যোগ করেছেন, ‘ইস্টবেঙ্গলের কোনও ম্যাচ আমি দেখিনি। প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভাবারও কোনও প্রয়োজন নেই আমার। কোচ তো আছেন ঠিক দিশা দেওয়ার জন্য। তবে এটুকু বলছি, নিজের সেরা খেলাটা দেওয়ার জন্য আমি তৈরি। আমাদের যা শক্তি তাতে ডার্বি কেন, যে কোনও ম্যাচ জিততে পারে।’
4/5প্রীতম কোটাল আবার বলেছেন, ‘যে কোনও বঙ্গসন্তানের কাছেই ডার্বি একটা আবেগ। সবুজ মেরুন জার্সি পরে অনেক ডার্বি খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে জানি, আমাদের সদস্য সমর্থকদের কাছে এর গুরুত্ব। সেই জন্যই এই ম্যাচ জেতাটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। মেরিনার্সরা যাতে নব্বই মিনিটের পর আনন্দ করতে করতে বাড়ি ফিরতে পারে, সেটা আমাদের সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। আমাদের বেশির ভাগ ফুটবলারেরই ডার্বি খেলার এবং জেতার অভিজ্ঞতা আছে। তবে সেটা ফাঁকা মাঠে। এ বার দর্শকভর্তি যুবভারতীতে খেলতে হবে। সমর্থকরা মাঠে থাকা মানে বারোজন নিয়ে খেলার মতো ব্যাপার। ওদের উল্লাস এবং উন্মাদনায় যাতে কেউ চাপে পড়ে না যায়, সেটা সবাইকে বোঝাতে হচ্ছে।’
5/5প্রীতম আরও বলেছেন, ‘শেষ দুটি ম্যাচে আমাদের ভুলের জন্যই পয়েন্ট নষ্ট করেছি। তা নিয়ে সদস্য-সমর্থকদের মতো আমরাও চিন্তিত। ড্রেসিংরুমে সবাইকে ডেকে বলেছি, আগের ম্যাচে কী হয়েছে সেটা ভুলে যাও। ডার্বি জিততে পারলে সবার সব আফশোস চলে যাবে। নিজেদের একশো শতাংস উজাড় করে দাও। ডার্বির কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। মাঠে নামার আগে কেউ আাডভান্টেজ পজিশনেও থাকে না। আমাদের দলের যা শক্তি তাতে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলেই আমরা মরসুমের প্রথম ডার্বি জিতে যাব। এ ব্যাপারে আমার কোনও সংশয় নেই।’