রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানকে ফাইনালে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ২০১০-এর পর আবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন তারা। তবে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হলেও সব টিমের কিছু না কিছু প্লেয়ার পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন। সে রকমই ১১ জনকে বেছে নিল HT বাংলা।
1/11জস বাটলার: ইংল্যান্ডের অধিনায়ক গোটা টুর্নামেন্টে যে রকম পারফরম্যান্স করেছেন, তাতে তাঁকে সেরা একাদশ রাখতেই হবে। শুধু যে ইংল্যান্ডকে শিরোপা জিতিয়েছেন, তা তো নয়,দুরন্ত পারফরম্যান্সও করেছেন। পাঁচ ম্যাচে ২২৫ রান করেছেন, যার মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৮০ রয়েছে।
2/11অ্যালেক্স হেলস: ২০১৯ সালে মাদক গ্রহণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন হেলস। তার পরে হেলসকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আসলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বিনোদনমূলক ওষুধ গ্রহণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। তার পর আবার চোটের কারণে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল তাঁকে সমস্ত ফর্ম্যাটে নিষিদ্ধ করেছিল। এর পর টানা তিন বছর ক্রিকেট খেলতে পারেননি অ্যালেক্স হেলস। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য যখন ইংল্যান্ড দল ঘোষণা করা হয়, তখন এই খেলোয়াড় দলে ফিরে আসেন। জনি বেয়ারস্টোর আহত হওয়ার কারণে দলে সুযোগ পান হেলস। ভালো পারফরম্যান্স করেন। সেই সুবাদে সুহাদে সুযোগ পান বিশ্বকাপেও। বিশ্বকাপে, আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেলস তার ইনিংস নিয়ে হতাশ হতে পারেন, তবে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি অর্ধশতক করেছিলেন, যেখানে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৭ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে একতরফা ম্যাচ জেতার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে অ্যালেক্স হেলস অপরাজিত ৮৬ রান করেন। বিশ্বকাপে মোট ২১২ রান করেন তিনি। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। পাশাপাশি বাটলারের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটিও হিট করে গিয়েছে।
3/11বিরাট কোহলি: এ বারের বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন বিরাট কোহলি। এই প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই। চারটি অর্ধশতরান-সহ ৬ ম্যাচে ২৯৬ রান করেছেন। গড় ৯৮.৬৬।
4/11সূর্যকুমার যাদব: প্রথম বিশ্বকাপেই মাতিয়ে দিয়েছেন। তাঁরও সংগ্রহে তিনটি অর্ধশতরান রয়েছে। ৬ ম্যাচে রান ২৩৯। চার নম্বরে নেমে ভারতের ভরসা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। যদিও সেমিফাইনালে তিনি হতাশ করেছেন।
5/11বেন স্টোকস: গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ এবং ফাইনাল, দু’টিতেই কার্যত হারা ম্যাচে দলকে খাতের কিনারা থেকে টেনে বের করে জিতিয়েছেন। আক্ষরিক অর্থেই বড় ম্যাচের ক্রিকেটার। অতীতে ইংল্যান্ডকে অনেক ম্যাচে একার হাতে জিতিয়ে দিয়েছেন। বড় ম্যাচ এলেই জ্বলে ওঠেন। ৫ ম্যাচে ১১০ রান করেছেন। উইকেট নিয়েছেন ৬টি।
6/11সিকান্দার রাজা: এ বারের আসরে জিম্বাবোয়ের সাফল্যের মূল কারিগর ছিলেন রাজা। প্রাথমিক পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৮ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। পরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও ব্যাটে-বলে সমান অবদান রাখেন। ৮ ম্যাচে ১৪৭.৯৭ স্ট্রাইক রেট এবং ২৭.৩৭ গড়ে ২১৯ রান করেন তিনি। আসরের সর্বোচ্চ ১১ ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। সুপার টুয়েলভে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ের ম্যাচে বল হাতে নেন ২৫ রানে ৩ উইকেট। ওভার প্রতি সাড়ে ৬ করে রান দিয়ে তিনি মোট ১০ উইকেট নিয়েছেন।
7/11শাদাব খান: পাকিস্তানের হয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলকে ভরসা দিয়েছেন শাদাব। ডান হাতে চমৎকার লেগ-স্পিন বোলিং করতে পারেন। আবার চালিয়ে খেলতেও সমস্যা হয় না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ২২ বলে তিনি ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। পরে বল হাতে ২ উইকেট নেন। বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচেও চমৎকার বোলিং করেন এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ফাইনাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ৭ ম্যাচে ওভার প্রতি ৬.৩৪ রান দিয়ে শাদাব নেন ১১ উইকেট।
8/11মিচেল স্যান্টনার: শাদাবের মতো ভূমিকা নিতে পারেন স্যান্টনারও। তাঁর হাতেও শট রয়েছে। আগের দু’জন ব্যর্থ হলে অনায়াসে স্যান্টনার খেলে দিতে পারবেন। বিশ্বকাপে ৯টি উইকেট নিয়েছেন।
9/11স্যাম কারান: দলে তাঁর জায়গা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ফাইনাল এবং প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটার তিনি। বিশ্বকাপ শুরুই করেন পাঁচ উইকেট নিয়ে। ফাইনালে নেন তিন উইকেট। প্রতিযোগিতায় ১৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
10/11এনরিক নরকিয়া: সুপার টুয়েলভ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেলেও নরকিয়া নজর কেড়ে নিয়েছেন। টানা ১৫০ কিমিতে বল করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। ১১টি উইকেট নিয়েছেন প্রতিযোগিতায়।
11/11শাহিন আফ্রিদি: চোট সারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফিরেছিলেন শাহিন। প্রথম দিকে ছন্দে না থাকলেও, পরে প্রত্যাবর্তন করেন নিজের ছন্দে। শাহিনের বলের বৈচিত্র্য ছিল অনেক বেশি। ফাইনালে তিনি চোট না পেলে হয়তো খেলার ফল অন্য রকম হতে পারত। ৭ ম্যাচে ওভার প্রতি ৬.১৫ রান দিয়ে আফ্রিদি নেন ১১ উইকেট।