প্রথমে ব্যাট করে ১৩৩ রান তোলে ভারত। সূর্যকুমার যাদব ৪০ বলে ৬৮ রান করেন। তিনি ছাড়া ভারতের বাকি ব্যাটারদের দশা তথৈবচ। সেই রান তাড়া করতে নেমে দু’বল বাকি থাকতে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম এবং মিলারের ৭৬ রানের ইনিংসই শেষ করে দেয় ভারতকে। আসলে ৭টি মুহূর্তে ম্যাচ হাতছাড়া হয় ভারতের। জানুন সেগুলি কী!
1/7১) রোহিত টস জিতে প্রথমে ব্যাট করেছেন - পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামের উইকেটে ভারত টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলল। আর সেই ম্যাচে রোহিত শর্মা একটি গুরুত্বপূর্ণ টস জিতেও আশ্চর্যজনক ভাবে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং পিচ পেসারদের সাহায্য করতে বাধ্য, রোহিতের সিদ্ধান্তটি কিছুটা অবাক করার মতো ছিল। তবে টস জিতে ভারত অধিনায়ক বলেছিলেন যে, ‘এটি একটি ভালো সারফেস এবং দল জানে যে এই পিচের থেকে কী প্রত্যাশা রয়েছে এবং কী করতে হবে।’
2/7২) এনগিডি টপ অর্ডারকে গুড়িয়ে দিয়েছে - প্রথম ৪-ওভারে ভারত উইকেট না হারিয়ে ২১ রান করেছিল। এবং দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল লড়াই করছিলেন। কিন্তু তার পরে লুঙ্গি এনগিডি এসে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ভারতকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে দেন। একই ওভারে রোহিত এবং রাহুল দু'জনকেই ফেরান। এক ওভার পরে, তিনি ফর্মে থাকা বিরাট কোহলির বড় উইকেটটিও তুলে নেন। ৪১ রানে ৩ জন বড় ব্যাটারকে হারিে ভারত চাপে পড়ে যায়।
3/7৩) ভারত ৯ ওভারের মধ্যে তাদের অর্ধেক উইকেট হারায়- লুঙ্গি এনগিডির তিন উইকেট তুলে নেওয়ার পরে, এনরিখ নরকিয়া বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া দীপক হুডাকে শূন্য রানে আউট করেন। তার পর তিনি হার্দিক পান্ডিয়াকেও ফেরান নরকিয়া। ভারত ৯ ওভারে ৫১ রানে ৫ উইকেটে হারিয়ে একেবারে তলিয়ে যায়। পিচ যে বাউন্স দিচ্ছিল এবং প্রোটিয়ারা সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ভারতকে ল্যাজেগোবরে করছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণের সামনে ভারতীয় ব্যাটাররা একেবারে শামুকের খোলসে ঢুকে যান।
4/7৪) সূর্য একা যোদ্ধা - একদিকে টানা উইকেট পড়ছিল। অন্য প্রান্তে উইকেট আঁকড়ে একাই লড়াই চালাচ্ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। যিনি ৬৮ রান করে ভারতকে ভরসা জুগিয়েছিলেন। মিডল অর্ডার বা লোয়ার-মিডল অর্ডার এবং টেলএন্ডাররা একেবারে কিছুই করতে পারেননি। কারণ ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান করে।
5/7৫) বোলাররা প্রথম দিকের সাফল্যকে পুঁজি করতে ব্যর্থ হয়- দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের ১৩৪ রান তাড়া করতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে ভারতের পেসাররাও নতুন বল এবং কন্ডিশনকে নিখুঁত ভাবে ব্যবহার করেছিল। শুরুতেই প্রোটিয়াদের ধাক্কা দিয়েছিল তারা। এবং আর্শদীপ সিংয়ের ২ উইকেট আর মহম্মদ শামির ১ উইকেটের হাত ধরে পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেটে ২৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তার পরে এডেন মার্করাম এবং ডেভিড মিলার চতুর্থ উইকেটে ৭৬ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করেন। আর এই জুটিই ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নেয়।
6/7৬) বিরাট কোহলির ক্যাচ ড্রপ এবং রোহিতের রান আউটের সুযোগ মিস - ১২তম এবং ১৩তম ওভারে এডেন মার্করামকে আউট করার দু'টি সুযোগ এসেছিল। কিন্তু সেগুলি ভারত কাজে লাগাতে পারেনি। অশ্বিনের ওভারে বিরাট কোহলি একটি সহজ ক্যাচ মিস করেন। কোহলির মতো ফিট এবং ভালো ফিল্ডার ক্যাচ মিস করায় হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন অশ্বিন নিজে। পরের মহম্মদ শামির ওভারেই রোহিত রান আউটের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন।
7/7৭) কিলার মিলার - যদিও ভারত শেষ পর্যন্ত ৫২ রানে এডেন মার্করামকে প্যাভিলিয়নে ফেরাতে পেরেছিল। তবে অভিজ্ঞ ডেভিড মিলারের স্মার্ট ব্যাটিং প্রদর্শনের কোনও উত্তর ছিল না। তিনি প্রথমে মার্করামকে খেলতে দিয়েছিলেন। তবে মার্করাম আউট হলে নিজেই দায়িত্ব নিয়ে দলকে জেতান। অপরাজিত ৫৯ করেন তিনি। সেই সঙ্গে ২ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মিলার।