ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচ ১-১ ড্র হওয়ার পরেই আবেগের বিস্ফোরণ দেখল কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম। কোচকে কোলে তুলে শূন্যে ছুড়ে দেন মহমেডানের ফুটবলাররা। একদল ছুটে চলে যায় অন্য প্রান্তের গ্যালারির দিকে। সমর্থকদের অভিবাদন, ভালবাসায় ভেসে যান সাদা-কালো ফুটবলাররা।
1/6গত বছর যুবভারতী থেকে হুডখোলা বাস ছেড়েছিল। সওয়ারি ছিলেন মার্কাস জোসেফ, শাহির শাহিন, আন্দ্রে চের্নিশভরা। এ বার বাসের রুট ম্যাপে একটু পরিবর্তন হয়েছে। বাস ছাড়ে কিশোর ভারতী থেকে। বাকি সবই প্রায় এক।
2/6৪০ বছর পর গতবার লিগ জয়ে রাস্তার ছিল জনপ্লাবন। সাদা কালো সমর্থকে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল বাইপাস। এবার সেই একই সংখ্যক সাপোর্টারের হাজিরা না থাকলেও কোনও অংশে কম নয়। প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক মঙ্গলবার স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিল। ম্যাচ শেষে প্রিয় দলের সেলিব্রেশনেও সামিল হন। আবেগের বিস্ফোরণ দেখল কিশোর ভারতী। কোচকে কোলে তুলে শূন্যে ছুড়ে দেন মহমেডানের ফুটবলাররা। একদল ছুটে চলে যায় অন্য প্রান্তের গ্যালারির দিকে। সমর্থকদের অভিবাদন, ভালবাসা গ্রহণ করতে ব্যস্ত ছিলেন ফজলু, ক্রিস্টিরা।
3/6খুশির জোয়ারে গা ভাসান ফুটবলাররা। কিন্তু হঠাৎ মার্কাসকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গায়ে চাপানো নেই মহমেডানের জার্সি। একটি সাদা জার্সি পরিহিত ত্রিনিদাদ টোবাগোর স্ট্রাইকার। জার্সির বুকে একটি ছবি। তাতে এক ভদ্রমহিলার কোলে বসে একটি বাচ্চা। লেখা, ‘মায়ের ভালবাসা সবকিছু জয় করতে শেখায়। মিস ইউ মম।’ মহমেডানকে জোড়া লিগ দেওয়ার অন্যতম কান্ডারী এই আনন্দের মুহূর্তে হঠাৎ এত বিমর্ষ কেন? প্রশ্ন করতেই মার্কাস জানান, আজকের দিনে তাঁর মাকে খুব মিস করছেন।
4/6পরপর কলকাতা লিগ জিতে স্বভাবতই খুশি সাদা কলোর তারকা ফুটবলার। মার্কাস বলেন, 'ব্যাক টু ব্যাক খেতাব জয় অসাধারণ অনুভূতি। মহমেডানের জন্য খুব ভাল। আমাদের আরও অনেক ফুটবল বাকি আছে। এই খেতাব আমাদের বাকি ম্যাচের জন্য প্রেরণা যোগাবে।' কলকাতা লিগ জিতলেও আই লিগের আরও প্রস্তুতি দরকার, জানান ক্যারিবিয়ান ফুটবলার।
5/6মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের পর মহমেডান স্পোর্টিংকেও আইএসএলে দেখতে চায় বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। এই প্রসঙ্গে মার্কাস বলেন, ‘আমাদের আইএসএল খেলার ক্ষমতা রয়েছে। ডুরান্ড কাপে আমরা কয়েকটা ম্যাচ খুব ভাল খেলেছি। দলে কোয়ালিটিও আছে। তবে আমরা ধীরে ধীরে এগোতে চাই।’
6/6চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে গোল পেয়ে উল্লসিত ফজলু। তিনি বলেন, 'খেতাবি ম্যাচে গোল পেয়ে দারুণ লাগছে। আমরা পিছিয়ে ছিলাম। একটা চাপ ছিল। সেই জায়গা থেকে গোল করা দারুণ অনুভূতি।' জোড়া লিগ জয়ে তৃপ্ত সাদা কালোর রুশ কোচ আন্দ্রে চের্নিশভ। সমর্থকদের জয় উৎসর্গ করেন। মহমেডানের খেতাব জয়ে আরও একবার ফিরল দীপাবলি। স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড় জমিয়েছিল একদল সমর্থক। ফুলঝুরি, রং মশাল, তুবড়ি, পটকা সবই ফাটল। হুডখোলা বাসে স্টেডিয়াম থেকে ক্লাবতাঁবুতে নিয়ে যাওয়া হয় বিজয়ী দলকে। সঙ্গে সমর্থকদের বাইক রালি।