আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সার্বিক ভাবে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। যার নিট ফল, ৩০ বছর আগের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি ১৯৯২ সালের বদলাও পূরণ করল ইংল্যান্ড। সে বার পাকিস্তানের কাছে হেরে ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙেছিল ব্রিটিশদের।
1/6পাকিস্তানের ব্যাটিং এ দিন চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়। দুই ওপেনার, যারা সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে জেতানোর মূল কাণ্ডারি ছিলেন, সেই বাবর আজ এবং মহম্মদ রিজওয়ান আসল দিনে মুখ থুবড়ে পড়েন। বাকিদের অবস্থাও তথৈবচ। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে কোনও মতে পাকিস্তান ১৩৭ রান করেছিল।
2/6কিন্তু পাকিস্তানের বোলার. যারা দলের প্রধান শক্তি, তারা এ দিন ইংল্যান্ডকে বিপাকে ফেলতে পারেননি। নিঃসন্দেহে জয়ের জন্য লক্ষ্য খুব বেশি ছিল না। তাও পাক বোলাররা এ দিন অন্য গল্প লিখতেই পারত। কিন্তু সেটা করতে তারা ব্যর্থ হন। বিশেষ করে স্পিনাররা। যেখানে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদরা পিচকে সুন্দর ভাবে ব্যবহার করে পাক ব্যাটিংকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন, সেই কাজটা করতে পারলেন না স্পিনাররা।
3/6পেসাররাও যে আহামরি পারফরম্যান্স করেছেন, এমনটা একেবারেই নয়। তার উপর আবর শাহিন আফ্রিদি বল করতে গিয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি পুরো ওভার বলও করতে পারেননি। ২.১ ওভার বল করেই মাঠ ছাড়তে হয় শাহিনকে।
4/6সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে যতটা মরিয়া মনে হয়েছিল, ফাইনালে সেই বিধ্বংসী মেজাজটাই উধাও হয়ে গিয়েছিল। সেই আক্রমণাত্মক মানসিকতাই খুঁজে পাওয়া গেল না পাকিস্তানের।
5/6পাকিস্তানের ফিল্ডিং যে খুব ভালো এমনটা নয়। প্রতি ম্যাচেই বল গলিয়ে অতিরিক্ত বহু রানই দিয়ে থাকে পাকিস্তান।
6/6ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মরিয়া ছিল। আর পাকিস্তানের ধারাবাহিকতা ইদানীং অত্যন্ত খারাপ। কখনও ফুল ফোটাচ্ছে, কখনও উত্তপ্ত আগুনে জল ঢেলে তা নিভিয়ে দিচ্ছে। ফাইনালের আগে সেই আগুনটা নিভে গিয়েছিল। এবং তাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সমীকরণ এখন জিরোতে অবস্থান করছে।