রবিবার শহরে এসেই মাঠে নেমে পড়লেন ফ্লোরেন্তিন পোগবা। রবিবার বিকেলে মোহনবাগানের অনুশীলন দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রায় ২০০ সমর্থক। সবার নজর একজনের দিকেই ছিল। তিনি পল পোগবার দাদা। ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে ঢোকার মুহূর্তে বাড়িয়ে দিলেন দুই হাত। পোগবাকে একটু ছোঁয়ার আকুতি তখন সমর্থকদের মধ্যে।
1/5এক ঝলক দেখলে মনে হবে অবিকল পল পোগবা। একই রকম চাহনি, হাঁটা চলা, একই রকম হাসি, একই রকম গাম্ভীর্য। দাদা ফ্লোরেন্তিব পোগবা যেন একেবারে পল পোগবারই কার্বন কপি। রবিবার শহরে এসেই মাঠে নেমে পড়লেন বড় পোগবা।
2/5জেট ল্যাগ থাকায় দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি। আলাদাই প্র্যাকটিস করলেন। শুরুতে কয়েক পাক দৌড়লেন। তার পর বল নিয়ে একা একাই একটু স্কিল দেখালেন। গ্যালারি জুড়ে তখন পোগবা… পোগবা চিৎকার। স্ট্রেচিং করার পর মাঠে দাঁড়িয়েই দেখলেন বাকিদের অনুশীলন। সতীর্থদের খেলা মন দিয়ে দেখে নিলেন পোগবা। সোমবার থেকেই দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করে দেবেন ফ্লোরেন্তিন।
3/5প্রথম দিনই পোগবার মুখে শোনা গেল কলকাতা ডার্বির কথা। ডুরান্ড কাপের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দ্বৈরথ যে পিছিয়ে গিয়েছে সেটা জানতেন না। নতুন তারিখ জানার পরেই সাংবাদিকদের বললেন, ‘ইস্টবেঙ্গলের ব্যাপারে শুনেছি। ওদের সঙ্গে ডুরান্ডে খেলার কথা রয়েছে। শুনেছি ওরা খুব বড় ক্লাব। এ ধরনের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। সাঁ এতিয়েঁতে খেলার সময় অলিম্পিক লিয়ঁর বিরুদ্ধে ডার্বি খেলেছি। জানি এই ম্যাচের উত্তেজনা। অন্য রকম পরিবেশ থাকে। এখন থেকেই বেশ উত্তেজিত। মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’
4/5ফ্রান্সের দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব সোশাউক্সে খেলতেন পোগবা। এত দল থাকতে হঠাৎ মোহনবাগানে কেন? পোগবার উত্তর, ‘যখন আমার কাছে অফার আসে, তখন একটু ভেবে নিই। তার পর ভাবলাম, নতুন একটা দেশ, নতুন মানুষ। সেখানকার ফুটবলকে একটু যাচাই করা যেতেই পারে। তাই ভারতে খেলতে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।’
5/5পল পোগবার কি কোনও সময় ভারতে তাঁর খেলা দেখতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে? পোগবার উত্তর, ‘জানি না পোগবা এখানে খেলা দেখতে আসবে কি না। আপাতত ক্লাবের হয়ে খেলবে। তার পর বিশ্বকাপ রয়েছে। ওর কাছে সময় অনেক কম। মনে হয় না আসতে পারবে। তবে এলে খুবই ভালো হবে।’ এর সঙ্গেই পোগবা যুক্ত করলেন, ‘এখানে আসার আগে ভাইয়ের সঙ্গে সে ভাবে কথা হয়নি। তবে ও জানে আমি এটিকে মোহনবাগানে খেলতে এসেছি। খুব খুশি। আমার মতো ও নিজেও চ্যালেঞ্জ নিতে জানে। আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।’