গোটা ঘটনার সূত্রপাত ২১ জুলাই। সেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলা বাড়িতে পৌঁছান ইডি কর্তারা। পাশাপাশি ১৫টি জায়গায় একযোগে চলে তল্লাশি। তল্লাশি চলে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি ৯০ লাখ নগদ টাকা। প্রায় ৫৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা, সোনার গয়নাও উদ্ধার হয় সেই ফ্ল্যাট থেকে।
1/7এরপর থেকেই অর্পিতার একাধিক সম্পত্তিতে হানা দিতে শুরু করে ইডি। ২৭ জুলাই রবিবার বেলঘড়িয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি কর্তারা। এখান থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ছাপিয়ে যায় টালিগঞ্জের অঙ্ককেও।
2/7বেলঘড়িয়ার আবাসনে অর্পিতার নামে দুটি ফ্ল্যাট ছিল। তার একটি থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। অপর ফ্ল্যাটটি থেকে উদ্ধার হয় ছয় কেজি সোনা, প্রায় ২৮ কোটি টাকা নগদ। বেডরুমের পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা, সোনার গয়না।
3/7১ কেজি ওজনের তিনটি সোনার বাট, আংটি, একাধিক মোটা হার, ছ’টি মোটা মোটা সোনার বালা, সহ একাধিক সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়। মোট ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয় এই ফ্ল্যাট থেকে।
4/7২৭ জুলাই কসবায় অর্পিতার রাজডাঙায় অবস্থিত বিনোদন সংস্থার অফিস ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’-এ হানা দেন ইডি কর্তারা। এই সংস্থার তথ্য এবং ঠিকানা পাওয়া যায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেই।
5/7এরপর বুধবার বেলঘড়িয়ার আবদুল লতিফ স্ট্রিটে অর্পিতার পৈত্রিক বাড়িতে হানা দেন ইডি কর্তারা। সেখানে আপাতত অর্পিতার মা থাকেন।
6/7বুধবারই বালিগঞ্জ প্লেস ইস্টের একটি বাড়িতে হানা দেন ইডি কর্তারা। সেই বাড়ি থেকে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয় বলে জানা যায়।
7/7এরপর বৃহস্পতিতে উত্তর ২৪ পরগনার চিনার পার্কেও অর্পিতার একটি ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডির একটি দল। তল্লাশি শেষে এই ফ্ল্যাটটিও সিল করে দেন ইডি আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাট ছাড়া অর্পিতার আরও কিছু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সব জায়গায় শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
