উত্তরাখণ্ডের চম্পাওয়াতে বিখ্যাত ‘পাথর নিক্ষেপ’ মেলায় ২৩০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই মেলায় দুটি দল একে অপরের উপর পাথর বা ফল নিক্ষেপ করে থাকে। আঘাতের পর রক্তপাতকে স্থানীয় দেবী বারাহী দেবীর নৈবেদ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
1/3চম্পাওয়াতের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ কে কে আগরওয়াল জানান, মেলায় ৩০ জন দর্শকসহ প্রায় ২৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গত বছরও মেলায় ৭৭ জন ভক্ত আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য বাগওয়াল মাঠে ডঃ আগরওয়াল মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাগওয়াল খেলার আগে, ৫২ জন রক্তদান শিবিরেও অংশ নিয়েছিলেন।’
2/3চম্পাওয়াত জেলা সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে দেবীধুরা এলাকায় দেবী বারাহী দেবীর মন্দিরের প্রাঙ্গণে প্রতি বছর 'রক্ষা বন্ধন' উপলক্ষে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও। মা বারাহীর মন্দিরে পুজো করে রাজ্যের সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেন ধামি। দেবীধুরায় একটি পুলিশ চৌকি নির্মাণেরও ঘোষণা করেন তিনি। ধামি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাগওয়াল মেলাকে ২০২১ সালে রাষ্ট্রীয় মেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।’ তবে গতবছর কোভিডের জন্য বৃহৎ আকারে অনুষ্ঠিত হয়নি এই মেলা। এই অনন্য মেলায় চারটি গোত্রের মানুষ- চামিয়াল, ওয়ালিক, গহরওয়াল এবং লামগড়িয়া খাম এবং স্থানীয় গ্রামের আরও অনেকে অংশ নেন।
3/3বারাহী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কৃতি বল্লভ যোশী বলেন, ‘দেবীধুরার বাগওয়ালের মেলা উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী মেলা থেকে আলাদা। আগে, বাগওয়াল খেলার জন্য পাথর ব্যবহার করা হত। কিন্তু ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরে মেলা কমিটি আঘাত এড়াতে পাথরের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন আপেল, পেয়ারা পিচ, লেবু এবং ফুল দিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়।’