এবছরের জানুয়ারি থেকেই ভারতের বাণিজ্য ক্ষেত্রে ঝড় ওঠে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এক রিপোর্টে। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারের দাম হেরফের করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে আদানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট সামনে এল।
1/6আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পরই তুলকালাম কাণ্ড হয়েছিল দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে। শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। এই পরিস্থিতিতে আদানিদের মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। আজ সেই কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল। (PTI)
2/6প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিদেশে বেনামি সংস্থা খুলে নিজেদের শেয়ার নিজেরাই কিনে নিত আদানি গোষ্ঠী। এভাবে বাজারে ভুয়ো চাহিদা সৃষ্টি করে শেয়ারের দাম চড়ানো হত। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়টি গড়িয়ে শীর্ষ আদালতের দরবারে। (PTI)
3/6এই আবহে সুপ্রিম কমিটি আজ জানায়, এখনও পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারের দাম হেরফের করার কোনও প্রমাণ মেলেনি। এছাড়া একটি নির্দিষ্ট কোনও পার্টির মাধ্যমে একাধিকবার ভুয়ো ট্রেডিং বা ওয়াশ ট্রেডের কোনও প্যাটার্ন পাওয়া যায়নি। ব্যবসায় জালিয়াতিরও কোনও সুসংগত প্যাটার্ন প্রকাশ্যে আসেনি। সেবির তথ্য এবং প্রাথমিক আরও তথ্য খতিয়ে দেখে আপাতত এই উপসংহারেই পৌঁছেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই প্রাথমিক রিপোর্টটি গত ৬ মে জমা দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। (PTI)
4/6এদিকে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সেবি জানায়, মোট ১১টি দেশের তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে আদানি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সেবি। আদানিদের জালিয়াতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সেই সব খতিয়ে দেখা হবে বলে শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে ভারতীয় শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রধান বিচারপতি ডঃ ধনঞ্জয় যশবন্ত চদ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হচ্ছে। বেঞ্চে বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং জেবি পারদিওয়ালাও আছেন। (PTI)
5/6উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) সুপ্রিম কোর্টে অনুরোধপত্র দাখিল করে আদানি তদন্তের জন্য আরও ৬ মাসের সময়সীমা চায়। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আরও তিন মাস দেওয়া যেতে পারে তদন্তের জন্য। সেই সংক্রান্ত শুনানি হয় আজ। সেখানেই আদানি তদন্ত নিয়ে মুখ খোলে সেবি। তারা শীর্ষ আদালতে জানায়, আদানি গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত এবং অফশোর সংস্থাগুলির সঙ্গে জড়িত জটিল লেনদেনের বিষয়গুলি ঠিক ভাবে খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে। (PTI)
6/6এদিকে সাম্প্রতিককালে গুজব রটে গিয়েছিল যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বহু আগে থেকেই আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল সেবি। অভিযোগ করা হয়, সেই ২০১৬ সাল থেকেই সেবি তদন্ত করছে আদানির বিরুদ্ধে। তবে সুপ্রিম কোর্টে সেবি জানায়, এরকম কোনও তদন্তই তারা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এর আগে করছিল না। পাশাপাশি সেবি 'সতর্ক' করেছে, আদানি ইস্যুতে জলদি তদন্ত করতে গিয়ে তা অসম্পূর্ণ থেকে গেলে সেটা বিপজ্জনক হতে পারে। (PTI)