অস্ট্রেলিয়ার পুরুষদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেতাব জয়ের সঙ্গে সঙ্গে এ বছরের টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছ। গোটা টুর্নামেন্টেই তারুণ্যের বদলে অভিজ্ঞতারই জয়জয়কার শোনা গেছে। তবে চার তরুণ স্রেফ নিজেদের দক্ষতার জেরে লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন তাঁদের দিকে। এক নজরে দেখে নিন বিশ্বকাপে খেলা সেরা তরুণ প্রতিভাদেরকে।
1/4বল হাতে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৬টি উইকেট, ব্যাট হাতে বিধ্বংসী মেজাজে মোট ১১৯ রান, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার প্রতিভা সম্পর্কে শোনা গেলেও নিজের অপরিসীম দক্ষতাকে বিশ্বকাপেই সকলের সামনে মেলে ধরেন এই অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কা তুলনামূলক তরুণ দল নিয়েই বিশ্বকাপে নেমেছিল এবং তাদের সেই সিদ্ধান্তকে ২৪ বছর বয়সী হাসারাঙ্গা সঠিক প্রমাণিত করেছেন।
2/4ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই রোহিত ও রাহুলকে আউট করে শাহিন আফ্রিদির নিজের প্রতিভার পরিচয় গোটা বিশ্বকে দিয়ে দেন। টুর্নামেন্টে সাত উইকেট নেওয়া শাহিন যেমন নতুন বলে ঘাতক সুইং করাতে দক্ষ, তেমনই পুরনো বলে ইয়র্কারও ভাল করেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল ওভার বাদ দিয়ে গোটা টুর্নামেন্টে প্রায় কেউই শাহিনের বিরুদ্ধে মাথা তুলেও ঠিকমতো দাঁড়াতে পারেননি। ভবিষ্যতের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার সব মালমশলা তাঁর মধ্যে রয়েছে।
3/4মুজিব উর রহমানের নাম আইপিএলের দৌলতে অনেকেই শুনেছেন। স্পিনার হয়েও তিনি বেশিরভাগ সময়ে পাওয়ার প্লেতে অতীব দক্ষতার সঙ্গে ব্যাটারদের বেঁধে রাখার পাশাপাশি সাত উইকেটেও নিয়েছেন। টুর্নামেন্টে ৯.২৮-র তাঁর গড় এবং ১০.২৮-র স্ট্রাইক রেট, আফগান তারকার প্রতিভাকেই তুলে ধরে। বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বক্রিকেট মুজিবের নামের সঙ্গে পরিচিত হলেও ভুলে গেলে চলবে না, তাঁর বয়স মাত্র ২০।
4/4শ্রীলঙ্কার ভবিষ্যতের আরেক কান্ডারী চরিথ আসালঙ্কার পরিপক্কতা এবং খেলার ধরন দেখে বোঝা দায়, যে তাঁর বয়স মাত্র বছর। ৪৬..২০ গড় ও ১৪৭. ১৩-র স্ট্রাইক রেট নিয়ে টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩১ রান করে গোটা বিশ্বকে তাঁকে নোটিশ করতে বাধ্য করেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। তিনি যে এই তালিকায় থাকবেন, তা কার্যত নিশ্চিতই ছিল।