6th Pay Commission DA: বামপন্থী সরাকির কর্মী সংগঠন ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে গড়মসি ভালো চোখে দেখছে না তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মী সংগঠনও। এমনই সুর ফুটে উঠল সংগঠনের এক নেতার গলায়।
1/5তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা মনোজ চক্রবর্তী ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের দাবির পক্ষে সুর চড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সরকারের সব পদক্ষেপই ইতিবাচক। তবে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী হিসেবে সরকারের সিদ্ধান্ত (বকেয়া ডিএ না দিয়ে পুজো কমিটিগুলো মোটা অঙ্কের অনুদান দেওয়া) মাথায় ঢুকছে না আমার।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে সরকারি কর্মচারিদের হাত ধরে রাজ্যের উন্নয়ন হচ্ছে, তাঁদের বিষয়েও রাজ্য সরকারের ভাবা উচিত।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
2/5প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ মেটানোর বিষয়ে সরকারের কোনও পদক্ষেপ করেনি এখনও। এদিকে পুজোয় ক্লাবগুলোর অনুদান বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি ক্লাবকে এবছর ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ রিবেট। তবে বকেয়া ডিএ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে বেজায় চটেছেন বিরোধীরা। ক্ষিপ্ত সরকারি কর্মচারীরাও। ফাইল ছবি : রয়টার্স
3/5এদিকে বামপন্থী সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি আগামী ৩০ অগস্ট দুপুরে দু’ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা।
4/5কর্মী সংগঠনের নেতা বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেন, ‘সরকার তো উৎসব, মোচ্ছব, ফূর্তি আর কার্নিভাল করে চলেছে। এই সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থের বিরোধী। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বড়সড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
5/5এদিকে অনুদানের ঘোষণা করতেই বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘সব খাতে এত খরচ হচ্ছে কিন্তু সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য ডিএ মেটানো হচ্ছে না সরকারের তরফে।’ সুর চড়িয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যে উন্নয়ন নেই। সঙ্গে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়া হচ্ছে না। টাকার অভাবে হাসপাতালে ওষুধ নেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও ক্লাবগুলোকে এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি)