কিশমিশ ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু এমনি এমনি খেলে হবে না। বিশেষ কায়দায় খেতে হবে। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য কিশমিশ খুবই উপকারী।
1/8মুখ মিষ্টি করার জন্য অনেকেই এমনি এমনি কিসমিস খান। তাছাড়া পায়েস, চাটনি বা অন্য নানা পদে তো কিশমিশ মেশানোই হয়। সুস্বাদু হিসাবেই সবাই এটি খান। কিন্তু এর আশ্চর্য উপকারিতা অনেকেই জানেন না। তবে তার জন্য বিশেষ কায়দায় কিশমিশ খেতে হবে।
2/8ওজন কমানো থেকে শুরু করে হাড় মজবুত করা পর্যন্ত নানাভাবে কিশমিশ সাহায্য করতে পারে।শুকনো কিশমিশ খাওয়ার বদলে যদি ভিজিয়ে খান তাহলে এর পুষ্টিগুণ পুরোটা পাওয়া যায়। জেনে নিন ভিজিয়ে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা।
3/8ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে: ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কে না চান? কিশমিশ খেয়ে ওজন কমানো যেতে পারে। কিশমিশে প্রাকৃতিক চিনি পাওয়া যায়, যা খেলে অন্য মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমে। ভেজানো কিশমিশ ব্লাড সুগার ঠিক রাখে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরিও দেয় না। তাই এটি ওজন ঠিক রাখে।এতে ফাইবার রয়েছে, তাই আপনি যদি এগুলি স্ন্যাক হিসাবে খান, তাহলে খিদেও কম পাবে।
4/8রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়: ভেজানো কিশমিশ ভিটামিন বি এবং সি সমৃদ্ধ। এই ভিটামিনগুলি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য। ভেজানো কিশমিশ নিয়মিত খেলে তাই অনেক ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
5/8হজম ক্ষমতা বাড়ে: কিশমিশে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচায়। তার পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
6/8চোখের জন্য ভালো: ভেজানো কিশমিশে পলিফেনল ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। এগুলো আপনার চোখের পেশির জন্য ভালো। নিয়মিত ভেজানো কিশমিশ খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।
7/8লিভারের জন্য উপকারী: আপনি যদি মদ্যপান করেন তবে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় ভেজানো কিশমিশ রাখা উচিত। ভেজানো কিশমিশ এবং কিশমিশের জল দুটোই লিভারের জন্য ভালো। এগুলিতে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। তারা লিভারকে ডিটক্সিফাই করে এবং রক্তকে বিশুদ্ধ করে।
8/8হাড়ের জন্য ভালো: মহিলাদের নিয়মিত কিশমিশ খাওযা উচিত। হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া অনেক মহিলার ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা। ৩০ বছর বয়স পার হওয়ার পর বিশেষ করে মহিলাদের প্রতিদিন ভিজিয়ে কিশমিশ খাওয়া উচিত। এতে কপার রয়েছে। এটি লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদনও বাড়ায়। যাঁরা রক্তাল্পতায় ভোগেন, তাঁদের প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়া উচিত।