বাংলা নিউজ > ছবিঘর > El Nino: শক্তিশালী এল নিনো নিয়ে কি সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা? ভারতে বর্ষার চাষাবাদে কতটা প্রভাব পড়তে পারে!

El Nino: শক্তিশালী এল নিনো নিয়ে কি সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা? ভারতে বর্ষার চাষাবাদে কতটা প্রভাব পড়তে পারে!

  • এমনকি তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে এলনিনো তাপমাত্রার নতুন রেকর্ডও তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা। এদিকে, ভারতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর থাকে বর্ষা। সেই সময় মূলত ফসল উৎপাদন হয়। যার ওপর নির্ভর করে দেশের বড় অংশের অর্থনীতি।
1/5 অপেক্ষায় আছেন? ঘনিয়ে কালো হয়ে আসবে আকাশ, ঘরে বসে ঝোড়ো হাওয়া খেতে খেতে বৃষ্টি দেখবেন, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি ভিজিয়ে নিয়ে যাবে রাস্তাঘাট! বর্ষা আসছে, এখবর তো শুনেই ফেলেছেন, তবে ‘শক্তিশালী এল নিনো’ টির খবর কি পেয়েছেন? ইউএস ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন এক এল নিনো তৈরি হচ্ছে, যা আশার থেকেও বেশি শক্তিশালী। আগেই জানিয়ে রাখা ভালো যে, এল নিনো একটি বিশেষ আবহাওয়াগত পরিস্থিতি। যার প্রভাবে গ্রীষ্ম মণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের দিকে অগ্রসর হবে।   . (PTI)
2/5 ইউএস ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নোয়ার তরফে বলা হচ্ছে, বছরের শেষভাগ অর্থাৎ শীতের দিকে এল নিনো দাপট দেখাতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চরমভবাপন্ন আবহাওয়া তৈরি করতে পারে। যার ফলে ভারতে দুর্বল বর্ষা দেখা দিতে পারে। ফলে বর্ষার দাপুটে ব্যাটিং আশা করা হলেও, তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এল নিনো নামের ইয়র্কারটি! এই এল নিনোর ফলে বিশ্বের কোথাও চরম গরম আবার কোথাও খুব বর্ষণ দেখা দিতে পারে, বলছেন বিজ্ঞানীরা।  (AP Photo)
3/5 বিজ্ঞানী মিশেল এল হিউরেক্স বলছেন, ‘শক্তির বিচারে এল নিনো যেকোনও রকমের প্রবাব ফেলতে পারে। বিশ্বের কোনও জায়গায় বেশি বর্ষণ, বা কোথাও বেশি খরা দেখা দিতে পারে।’ এমনকি তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে এলনিনো তাপমাত্রার নতুন রেকর্ডও তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা। এদিকে, ভারতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর থাকে বর্ষা। সেই সময় মূলত ফসল উৎপাদন হয়। যার ওপর নির্ভর করে দেশের বড় অংশের অর্থনীতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ভারতের বর্ষায় এল নিনো প্রভাব ফেলে, তাহলে কৃষি সমেত বহু সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  (PTI)
4/5 বছরের শুরুতে ভবিষ্যদ্বাণী ছিল যে, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুকৃত বর্ষার শেষ অংশে, মানে অগস্টের দিকে এল নিনো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এল নিনোর প্রভাবে ভারতের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে স্বাভাবিকের থেকে ৯২ শতাংশ কম বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল। জুন থকে সেপ্টেম্বরে ওই এলাকায় বৃষ্টির লং পিরিয়ড অ্যাভেরেস ৯২ শতাংশ বলা হয়েছিল পূর্বাভাসে। বলা হচ্ছে, গত ৩ বছরে লা নিনার প্রভাবে তাপমাত্রা খানিকটা কমেছিল, তবে এল নিনোর কামব্যাকে তাপমাত্রা ফের বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
5/5 উল্লেখ্য, এল নিনোর প্রভাবে বারতে ১৫ বছরে ৯ বার বর্ষায় আশা অনুযায়ী বৃষ্টিপাত পর্যাপ্ত হয়নি। শেষবার এল নিনোর প্রভাব দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। সেবার প্রচণ্ড গরমের মুখে পড়তে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭ বছর পর এল নিনো ফিরেছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ২০২৩ কিম্বা ২০২৪ সালে এল নিনোর প্রভাব পড়তে পারে। তারফলে রেকর্ড ছুঁতে পারে তাপমাত্রা। ভারতে কি এর খুব খারাপ প্রভাব পড়তে পারে? উত্তর তোলা সময়ের হাতে।

আরও ছবি