1/9হরমোনের ভারসাম্যের অভাব অনেকেরই হয়। এই সমস্যা নানা ধরনের জটিলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। ত্বকের সমস্যা, হজমের সমস্যার মতো সাধারণ জটিলতা তো আছেই, এর সঙ্গে মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতকালীন নানা সমস্যা, PCOD জাতীয় জটিলতা, পুরুষের ক্ষেত্রে বন্ধ্যত্বের মতো নানা জটিলতার মাত্রা বাড়তে থাকে। এই সব সমস্যার জন্য বহু ক্ষেত্রেই দায়ী আমাদেরই নানা অভ্যাস। পরিস্থিতি সামলাতে কী কী করবেন? কোন কোন ভুলগুলি আর করবেন না? দেখে নিন।
2/9১। সকালে খালি পেটে চা বা কফি: ঘুম থেকে উঠে এনার্জি পাওয়ার জন্য এবং আলসে ভাব কাটানোর জন্য কি খালি পেটেই চা বা কফিতে চুমুক দিচ্ছেন? এটি হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ডেকে আনতে পারে। এতে বিগড় যেতে পারে খাবার হজম করার প্রক্রিয়াটি। তার সূত্রেই হাজির হতে পারে হরমোনের ভারসাম্যের অভাবের মতো সমস্যা। ফলে একেবারে খালি পেটে এই জাতীয় পানীয় খাবেন না।
3/9২। মানসিক চাপ: এটি হরমোনের ভারসাম্যের অভাবের পিছনে থাকা অন্যতম কারণ। মানসিক চাপের সঙ্গে যুক্ত থাকে কতগুলি হরমোন। এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়লে অন্য হরমোনের ক্ষরণ ব্যাহত হয় এবং শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। মানসিক চাপ বৃদ্ধির জন্য যে জাতীয় হরমোনগুলি দায়ী, সেগুলি অন্য হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে মানসিক চাপ কমানোটি খুবই দরকারি।
4/9৩। অস্বাস্থ্যকর খাবার: খাবার সংক্রান্ত সমস্যা হরমোনের ভারসাম্যের মারাত্মক অভাব ডেকে আনতে পারে। চিনি, অ্যালকোহল, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অত্যধিক ভাজা খাবার, ফারমেনটেড খাবার, গ্লুটেন এবং দুগ্ধজাত খাবার বেশি মাত্রায় খেলে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব হতেই পারে।
5/9৪। সময় মেনে খাবার না খাওয়া: এক এক দিন এক এক সময়ে খাবার খেলে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব হতে পারে। তার কারণ খাবার হজম করার জন্য নানা ধরনের হরমোনের দরকার হয়। এক এক দিন এক এক সময়ে খাবার খেলে হজম করানোর হরমোনের ক্ষরণেও তার প্রভাব পড়ে। সেটি আবার প্রভাব ফেলে শরীরের বাকি হরমোনের উপর।
6/9৫। ভালো ঘুম না হওয়া: ঘুমের সমস্যাও ডেকে আনতে পারে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব। যাঁদের রাতে ঠিকঠাক ঘুম হয় না, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি মাত্রায় দেখা যায়। তাই রাতের ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
7/9৬। দিনে ঘুম: অফিসের কজের ফাঁকে অনেকের ঘুম পেয়ে যায়। তাঁরা কিছু ক্ষণ ঘুমিয়েও নেন। আর যাঁরা চাকরি করেন না বা কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁদের অনেকেও দুপুরে ঘুমোন। কিন্তু দুপুরে আধ ঘণ্টার বেশি ঘুম হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ডেকে আনতে পারে। তাতে যেমন কমে যেতে পারে রাতের ঘুম। তেমনই অন্য সমস্যাও হতে পারে।
8/9৭। শারীরিক পরিশ্রমের অভাব: অনেকেই সারা দিন শুয়ে বসে কাটান। এই সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে হরমোনের ভারসাম্যের অভাবও। প্রতিদিন নিয়ম মেনে কিছুটা সময় শরীরচর্চা করা উচিত। সেটি না হলেও, আধ ঘণ্টা হাঁটা খুবই দরকারি। এগুলি না হলে বেড়ে যেতে পারে সমস্যা।
9/9৮। নন-স্টিক বাসনে রান্না: এই ভুলটি অনেকেই করেন। খুব পুরনো নন-স্টিক বাসনে রান্না করলে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব হতে পারে। এছাড়া প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে খাবার রাখলেও এই সমস্যার সম্ভাবনা বিপুল মাত্রায় বাড়ে।