Hezbollah leader Hassan Nasrallah: ৩২ বছর পরে এয়ারস্ট্রাইকে হিজবুল প্রধানকে খতম করল ইজরায়েল! এই হাসান কে? মৃত মেয়েও

Updated: 28 Sep 2024, 01:37 PM IST Ayan Das

লেবাননে জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার ঘাঁটিতে বিধ্বংসী এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল। আর সেই এয়ারস্ট্রাইকের নিশানায় হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ছিল। তাকে খতম করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েল। কিন্তু কে হাসান নাসরুল্লাহ?

1/6বাবার পাশাপাশি লেবাননে ইজরায়েলি এয়ারস্ট্রাইকে হিজবুল্লার নেতা হাসান নাসরুল্লাহের মেয়ে জেহনাবের মৃত্যু হয়েছে বলে একটি রিপোর্টে দাবি করা হল। সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেইরুটে হিজবুল্লার শক্তঘাঁটিতে ইজরায়েলের এয়ারস্ট্রাইকে জেহনাবের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ইজরায়েল বা হিজবুল্লার তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এপি এবং এক্স)

2/6শুক্রবার ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার সদর দফতরে মুহূর্মুহূ হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। হিজবুল্লার প্রধান নাসরুল্লাহকে খতম করতেই ইজরায়েল সেই হামলা চালিয়েছে বলে অনুমান সংশ্লিষ্ট মহলের। শনিবারও বেইরুটের দক্ষিণ শহরতলি এবং লেবানেনর অন্যান্য প্রান্তে এয়ারস্ট্রাইক চালাচ্ছে ইজরায়েল। তবে নাসরুল্লাহের কী অবস্থা, সে বিষয়ে আপাতত সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)

3/6কিন্তু এই নাসরুল্লাহ আদতে কে? একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৬০ সালে লেবাননের রাজধানী বেইরুটে জন্মগ্রহণ করেছিল নাসরুল্লাহ। আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। বাবার ছোট সবজির স্টল ছিল। পরিবারে মোট নয় সন্তান ছিল। সবথেকে বড় ছিল নাসরুল্লাহ। ফতিমা ইয়াসিনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। তাদের একাধিক সন্তান আছে। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)

4/6মিডল-ইস্ট নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরাকে গিয়ে ধর্মীয় বিজ্ঞান নিয়ে তিন বছর পড়াশোনা করেছিল নাসরুল্লাহ। কিন্তু শিয়াদের উপরে সাদ্দাম হোসেন খড়্গহস্ত হওয়ার পরে ১৯৭৮ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তারইমধ্যে ইরাকে 'মেন্টর' আব্বাস আল-মুসাভির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। নাসরুল্লাহের বয়স যখন ১৬, তখন মুসাভির নজরে পড়েছিল। তারপর ১৯৯২ সালে মুসাভির মৃত্যুর পরে হিজবুলের দায়িত্ব নিয়েছিল নাসরুল্লাহ। ৩২ বছর ধরে জঙ্গি সংগঠনের মাথায় ছিল। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স)

5/6সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯২ সালে জঙ্গি সংগঠনের মাথায় যখন বসেছিল নাসিরুল্লাহ, তখন তার বয়স ছিল ৩২। জঙ্গি সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েই ইজরায়েলের উপরে 'প্রতিশোধ' নিয়েছিল। উত্তর ইজরায়েলে রকেট হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তুরস্ক এবং আর্জেন্টিনায় ইজরায়েলের দূতাবাসেও হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল জঙ্গিনেতা। (ছবি সৌজন্যে এপি)

6/6মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমেসর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইজরায়েলের বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের সময় ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাসরুল্লাহের বড় ছেলে হাদির মৃত্যু হয়েছিল। সেইসময় হাদির বয়স ছিল ১৮। সেজন্য 'আবু হাদি' নামেও পরিচিত নাসরুল্লাহ। যে হিজবুলের অন্দরেই বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহও হয়েছিল বলে একাধিক রিপোর্ট দাবি করা হয়েছে। (ছবি সৌজন্যে এপি)

পরবর্তী ফটো গ্যালারি