১৫ বছর বয়সে ব্রিটেন ছেড়ে সিরিয়ায় গিয়ে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিকে বিয়ে করেছিলেন। এখন দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন শামীমা বেগম। তবে তার আগেই শামীমার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে নাগরিকত্ব ফিরে পেতে ব্রিটেনের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শামীমা। তবে সেই শামীমা সেই লড়াইতে হেরে গেলেন।
1/5ব্রিটেনের অভিবাসন আদালতের নির্দেশে শামীমা বেগম আর ব্রিটেনে ফিরতে পারছেন না। ২৩ বছর বয়সি এক সন্তানের মা শামীমা বর্তমানে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আল রোজ শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। এর আগে সিরিয়ায় যুদ্ধে তাঁর তিন সন্তান মারা গিয়েছে।
2/5২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর উত্থান ঘটেছিল। ২০১৫ সালে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিতে ব্রিটেন ছেড়েছিলেন সেই সময় মাত্র ১৫ বছর বয়সি শামীমা বেগম। ২০১৯ সালে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি শরণার্থী শিবিরে তাকে পাওয়া যায়।
3/5লন্ডনের স্পেশাল ইমিগ্রেশনস আপিল কোর্টে শামীমা বেগম নিজের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার লড়াই শুরু করেছিলেন। আদালতে শামীমার আইনজীবীরা বলেন, শামীমা মানব পাচারের শিকার হয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে অনলাইনে প্ররোচিত করে ব্রিটেনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাঁকে সিরিয়ায় পাচার করা হয়।
4/5এদিকে ব্রিটিশ সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেন, জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। বাবা-মায়ের সূত্র ধরে শামীমার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার জানিয়ে দিয়েছে, শামীমার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নেই।
5/5এদিকে আইএস জঙ্গির স্ত্রীর আইনজীবী ব্রিটিশ আদালতে দাবি করেন, শামীমা যদি বাংলাদেশে ফিরে যায় তাহলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে। এদিকে ব্রিটিশ সরকার তাঁর মক্কেলের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জেরে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন। এদিকে অভিভাসন আদালতে হারের পর শামীমার আইনজীবীরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট বা ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে মামলাটি নিয়ে যেতে পারে।