বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > World AIDS day: বিশ্ব এডস দিবস: কেন পালন করা হয় প্রতি বছর? কোন পথে এগোচ্ছে এই রোগের চিকিৎসা
World AIDS day: বিশ্ব এডস দিবস: কেন পালন করা হয় প্রতি বছর? কোন পথে এগোচ্ছে এই রোগের চিকিৎসা Updated: 01 Dec 2022, 09:18 AM IST Sanket Dhar World AIDS day importance, significance and history: প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর এই দিবস পালন করে জাতিসংঘের সংস্থা। রোগটির ভয়াবহতা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ। পাশাপাশি সমাজের ভুল ধারণা শুধরে দেওয়ার প্রচেষ্টাও থাকে এই দিন। 1/15 প্রতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম দিনটি বিশ্ব এডস দিবস হিসাবে পালিত হয়। এই দিনটি পালন করার পিছনে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী। 2/15 মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি সমাজে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো শুধরে দেওয়ার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের প্রশাসন। 3/15 এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরা বহু দেশেই প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে গণ্য হন। সমাজে তাঁরা সহজে মেলামেশা করতে পারেন না। সমাজের তরফে অসহযোগিতা ও খারাপ ব্যবহার পান বলে অনেকে মানসিক সুখে জীবনযাপনও করতে পারেন না। 4/15 এই সব কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই এইবারের দিনটির থিম ‘ইক্যুয়ালাইজ'। অর্থাৎ এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদেরও আর পাঁচজন রোগীর মতো সমান চোখে দেখতে হবে। 5/15 তাঁরা যাতে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পায়, সেটিও সুনিশ্চিত করা জরুরি। একইসঙ্গে তাঁদের সামাজিক সুযোগসুবিধা ভোগ করার দিকটিও প্রশাসন ও সমাজকে সুনিশ্চিত করতে হবে। 6/15 ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেই এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই দিনে হু-ই সারা বিশ্বে সচেতনতা প্রসারের ভূমিকা পালন করত। পরে ইউএনএআইডিএস-তরফে ১ ডিসেম্বর উদযাপন শুরু হয়। 7/15 ১৯৮১ সালে এই মারণরোগটি প্রথম ধরা পড়েছিল। এরপর সারা বিশ্বেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ২০ বছরের মধ্যে ৩৩ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। 8/15 এই ২০ বছরে মৃত্যুর সংখ্যাটাও যথেষ্ট ভয় ধরানোর মতো। ২৫ মিলিয়নেরও বেশি রোগী ওই দুই দশকে মারা যান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে রোগটিকে প্যান্ডেমিক বলে চিহ্নিত করা হয়। 9/15 হু-এর পর্যবেক্ষণ, মৃত্যুর হার এতটা হত না। এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে মানুষের মনে ভয় ও ভুল ধারণার কারণেই বেড়েছে মৃত্যুর হার। সঠিক সময়ে রোগীরা পর্যাপ্ত সহযোগিতা ও চিকিৎসা পেলে অনেকটাই কমে আসত আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। 10/15 কিন্তু এখনও রয়ে গিয়েছে সেই মানসিকতা। বেশ কিছু ভুল ধারণার জন্য বিশ্ব জুড়ে রোগীরা এখনও প্রান্তিক শ্রেণীর। এডস্ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৭ সালে ওয়ার্ল্ড এডস ক্যাম্পেন শুরু হয়। 11/15 ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ এই রোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে ইউএনএডিএস গড়ে তোলে। তাদের তরফেই শুরু হয় বিশ্বজুড়ে এই প্রচার অভিযান। 12/15 এই ক্যাম্পেনের অফিস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে ওঠে। তার মাধ্যমেই চলতে থাকে জোরদার প্রচার। ২০০৫ সাল থেকে এই সংস্থা স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করে। 13/15 বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে মোট ৩৫ মিলিয়ন রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। 14/15 এখনের সময়ে দাঁড়িয়ে প্রযুক্তি ও চিকিৎসা ব্যবস্থা দুটোই অনেক উন্নত হয়েছে। আগের তুলনায় প্রতি বছর মৃত্যুর হারও অনেকটা কমেছে। 15/15 এবার প্রয়োজন মানুষ ও সমাজের সহযোগিতা। তাহলে এই রোগটির মোকাবিলা করা অনেকটাই সহজ হবে। ডিসেম্বরের ১ তারিখে সে কথা মনে করিয়ে দিতেই চায় ইউএনএডিএস।