একেবারে স্টেপ-আউট করে মারার বল ছিল। তা করলে বলটাও সম্ভবত খুঁজেও পেতেন না রবি শাস্ত্রী। কিন্তু সেই বলটাও খেলার প্রয়োজনও বোধ করলেন না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের মেজাজেই বুঝিয়ে দিলেন, দিনের শেষে ‘মহারাজ’ তিনি। শাস্ত্রীর কথায় মোটেও তাঁর সাফল্যে মোটেও চোনা পড়বে না।
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল? তা জানতে মোটামুটি সপ্তাহদুয়েক পিছিয়ে যেতে হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর আবহে আইপিএল মহাযজ্ঞ আয়োজন করে রীতিমতো প্রশংসা কুড়োয় ভারতীয় বোর্ড। সৌরভ প্রথম থেকেই যেভাবে আইপিএল সফল করতে মাঠে নেমেছিলেন, তাতে তাঁরও প্রশংসা করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। ব্যতিক্রম শুধু রবি শাস্ত্রী।
গত ১০ নভেম্বর আইপিএল ফাইনালের পর টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য ভারতীয় বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ। ‘এই অসম্ভব কাজকে সম্পন্ন করা এবং এটিকে স্বপ্নের আইপিএল করে তোলার জন্য’ বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ, আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল, আইপিএলের সিওও হেমাঙ্গ আমিন-সহ বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল স্টাফদের ধন্যবাদ জানান শাস্ত্রী। কিন্তু তাতে ছিল না সৌরভের নাম। ভাবটা এমন ছিল যেন আইপিএল আয়োজনে সৌরভের কোনও ভূমিকা নেই। এমনিতেও শাস্ত্রীর সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক তেমন কোনওদিনই ভালো ছিল না বলে অধিকাংশের দাবি।
সৌরভের প্রতি এরকম আচরণের জন্য রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন নেটিজেনরা। শেন ওয়ার্নের মতো ক্রিকেটার যেখানে সৌরভের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন, সেখানে শাস্ত্রী করেননি বলে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। সেই বিতর্কের পরও অবশ্য নিজের টুইট মুছে দেননি শাস্ত্রী।
তাঁকে কৃতিত্ব না দেওয়া নিয়ে শনিবার নিউজ ১৮ বাংলার সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হলে সৌরভ স্পষ্ট বলেন, ‘আমার তাতে কিছু যায় আসে না।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।