‘বাগান এখনও কিছু জানায়নি, কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি’, হতাশ ফ্রান গঞ্জালেজ

এবারও ‘দ্য বস’ বলেছেন, ‘ জয় মোহনবাগান।’

আই লিগ জয়ের পর কল্যাণীতে উচ্ছ্বাস ফ্রান গঞ্জালেজের (ছবি সৌজন্য ফেসবুক)

সপ্তাহদুয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তারপরও এটিকে-মোহনবাগানের তরফে খেলার বিষয়ে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে তাঁর আইনজীবীকে দু'বার ফোন করা হয়েছিল বলে জানালেন ‘দ্য বস’ ফ্রান গঞ্জালেজ।

স্পেনীয় খেলোয়াড়ের সঙ্গে দু'বছরের চুক্তি করেছিল মোহনবাগান। প্রথম বছরেই দুর্ধর্ষ খেলেন তিনি। বাগানের দ্বিতীয় আই লিগ জয়ের পিছনে তাঁর অবদান কম নয়। কিন্তু এটিকের সঙ্গে মোহনবাগানের সংযুক্তির পর ‘দ্য বস’-এর সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। এমনকী এক বছরের চুক্তি থাকা সত্ত্বেও আট বিদেশির কোটা পূর্ণ করে ফেলেছে এটিকে-মোহনবাগান। 

তা নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তার পরেও এটিকে-মোহনবাগারের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি। কলকাতা থেকে তাঁর আইনজীবীরা দু'বার ফোনে পেলেও স্পেনীয় ফুটবলারের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি বলে জানিয়েছেন গঞ্জালেজ।

মঙ্গলবার একটি ফেসবুক পোস্টে ‘দ্য বস’ বলেন, 'নমস্কার প্রিয় মেরিনার্সরা। আমার আশা, আপনারা এবং আপনাদের পরিবার ভালো আছে। আমার পরিস্থিতির বিষয়ে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন। দলের সঙ্গে অনুশীলনের জন্য ভারতে কবে ফিরতে হবে, সে বিষয়ে মোহনবাগানের তরফে কোনও খবর পাইনি। কিন্তু আমি নিজের দিক দিয়ে প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখছি না। আমি পরিশ্রম করছি। এটিকের তরফে আমার আইনজীবীদের দু'বার ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও  কোনও তথ্য বা প্রস্তাব পাননি।'

করোনাভাইরাসের প্রকোপের জেরে দীর্ঘদিন শহরে আটকে থাকার পর গত মে'তে স্পেনে ফিরেছিলেন গঞ্জালেজ। যে স্পেনীয় ফুটবলার একটা সময় বলেছিলেন ‘মোহনবাগানের জন্য প্রাণ দিতে পারি’, ‘পা কেটে ফেলতে হলেও ডার্বিতে নামব’, সেই খেলোয়াড়ের সঙ্গে এরূপ আচরণ করা হওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছেন বাগান সমর্থকরা।  তাঁদের বক্তব্য, স্পেনীয় ফুটবলারকে যদি নয়া মরশুমের দলে রাখা না হয়, নিদেনপক্ষে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হোক। 

কার্যত একই আর্জি করেছেন গঞ্জালেজ। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আশা করছি, পুরোটা দ্রুত মিটিয়ে নেওয়া হবে। আমার ও আমার পরিবারের জন্য এটা কঠিন সময়। দয়া করে সুরক্ষিত থাকুন এবং নিজেদের দেখভাল করুন। মেরিনার্সদের শুভেচ্ছা। জয় মোহনবাগান।’