ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। তবে ব়্যাকেট হাতে নেওয়ার পর প্রেমে পড়ে যান ব্যাডমিন্টনের। খেলা ভালোবাসতেন। তাই ক্রিকেট না ব্যাডমিন্টন, তাতে কিছু যায় আসে না। ফিভার নেটওয়ার্কের #100Hours100Stars-এর শোয়ে পুল্লেলা গোপীচাঁদ জানালেন, ব্যডমিন্টনই কীভাবে তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে ভারতীয় ক্রীড়ামহলে। বিশেষ করে তাঁর জীবনে অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা স্পষ্ট করে দেন দ্রোনাচার্য।
গোপীচাঁদ জানান, ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্রিকেট নিয়ে সারা দেশের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। তিনি নিজেও ক্রিকেট পছন্দ করতেন। তবে ক্রিকেটের ময়দানে ট্র্যাফিক জ্যামের জন্যই তাঁর ব্যাডমিন্টনে আসা। শুরুর দিকে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছিল। তবে ব়্যাকেট হাতে নেওয়ার পর ক্রমশ ব্যাডমিন্টনের প্রতি তাঁর ভালোবাসা জন্মায়।
অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে গোপীচাঁদ বলেন, 'সেই সময় ঐতিহ্যশালী এই টুর্নামেন্ট জেতা আমাকে তৃপ্তি দিয়েছিল মাত্র। তবে অল ইংল্যান্ডের প্রভাব এখন আমার জীবনে অনেক বেশি। অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উপর ভিত্তি করেই আজ আমার পরিচিতি, আমার কেরিয়ার, বিশেষ করে কোচিং কেরিয়ার প্রতিষ্ঠিত।'
যদিও ২০০১-এ অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ ছিল না মোটেও। গোপীর কথায়, 'সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল খেলতে যাওয়াটাই। তখন বিদেশ সফরের আগে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ও বিমানের টিকিট নিশ্চিত করার জন্য সাত-দশদিন লেগে যেত। তাই টুর্নামেন্টের আগে অনুশীলেন বলে কিছু হতো না। তার উপর ব্যাঙ্গালোর থেকে মুম্বই-দিল্লি-ফ্রাঙ্কফুর্ট হয়ে বার্মিংহ্যাম পৌঁছনো ছিল সমস্যার। তখন মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের এমন রমরমা ছিল না। তাই টুর্নামেন্ট শুরুর আগের সন্ধ্যায় ওখানে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত ড্রয়ের খবরও জানা ছিল না। তার উপর জেট ল্যাগ সঙ্গে নিয়ে প্রথম ২দিন ২টো করে ম্যাচ খেলা। শরীরের উপর ধকল পড়েছিল বিস্তর। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া তৃপ্তি দিয়েছিল।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।