চলতি বছরের শেষে ভারতের মাটিতে বসতে চলেছে ওডিআই বিশ্বকাপ। অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে ভারতের মাটিতে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট বসবে। আর এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে এই মুহূর্তে দেশের সব স্টেডিয়ামে প্রস্তুতির কাজ চলছে জোর কদমে। ইতিমধ্যেই স্টেডিয়ামগুলিকে ঢেলে সাজাতে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বিসিসিআই।
আইপিএলের গ্রুপ পর্ব শেষ হতেই বেশ কিছু স্টেডিয়ামে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আইসিসির প্রতিনিধি দল পর্যবেক্ষণ করার আগেই কাজ শেষ করে নিতে চাইছে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলি। ২০১১ বিশ্বকাপে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সংস্কারের কাজ শেষ না হওয়ায় সেখান থেকে ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচ সরে যায় বেঙ্গালুরুতে। তাই সিএবিও এবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে কাজ সেরে নিতে প্রস্তুত।
২০১১ সালে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন পায়। কিন্তু ভারত এবার একক ভাবে এই দায়িত্ব সামলাচ্ছে। ফলে বিসিসিআই এবং ইএসপিএন ক্রিকইনফোর রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের মোট ১৫টি স্টেডিয়ামে এবারের বিশ্বকাপের ম্যাচ বসতে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, গুয়াহাটি, ধরমশালা, দিল্লি, ইন্দোর, রাজকোট, চেন্নাই, তিরুবনন্তপূরম, লখনউ, মোহালি। এছাড়াও পুনে এবং নাগপুরে বিসিসিআইয়ের ভাবনায় রয়েছে। সেখানেও ম্যাচ হতে পারে।
শুধু তাই নয়, কবে থেকে শুরু হচ্ছে এবং কোন মাঠে কবে কার খেলা তা জানা যাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের সময়। এমনটাই জানা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে। শুধু বিশ্বকাপের সূচি নয়, একই সঙ্গে এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎও জানা যাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের সময়।
আইপিএল শেষ হলেই ভারতীয় দলের বেশ কিছু ক্রিকেটার যারা এখনও ইংল্যান্ড উড়ে য়াননি তারা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলতে চলে যাবেন। সেই টুর্নামেন্টের পরই ওডিআই বিশ্বকাপের প্রহর গোনা শুরু করে দেবেন সমর্থকরা। বিশ্ব ক্রিকেটের মহা যজ্ঞকে ঘিরে এখন থেকেই উন্মাদনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে এই বিশ্বকাপকে ঘিয়ে বোর্ড কোনও রকম ত্রুটি রাখতে চাইছে না। পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হচ্ছে। শুধু স্টেডিয়ামের গ্যালারিও নয়, একই সঙ্গে স্টেডিয়ামের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি করতে বলা হয়েছে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে। যাতে বৃষ্টি হলেই দ্রুত জল নেমে যেতে পারে। কারণ অনেক স্টেডিয়ামেই নিকাশি ব্যবস্থা ভালো না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে উন্নত মানের গ্রাউন্ডস কভার এবং নিকাশি ব্যবস্থা আরও ভালো করার কথা বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু স্টেডিয়ামে কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম এবং চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে যে সব স্টেডিয়ামে কাজ এখনও চলছে বা শুরু হয়নি, তাদেরও দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।