ঠাণ্ডা মাথার খুনে মেজাজ। মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিংকেই নয়, বাইশগজে তাঁর বেশ কিছু সিদ্ধান্তকেও ঠিক এভাবেই বর্ণনা করা যায়। সকলের চোখে যেটা বেমানান, প্রায়শ সেটাই তুরুপের তাস হয়ে দেখা দিয়েছে মাহির।
বরাবর ফাটকা খেলতে পছন্দ করেন ক্যাপ্টেন কুল। তার সুফলও পেয়েছে ভারত। ধোনির এমনই কিছু সিদ্ধান্তের দিকে তাকানো যাক, যা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকলেও শেষমেশ ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ বদলে দিয়েছে।
বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারে যোগিন্দরের হাতে বল: হরভজন সিংয়ের এক ওভার বাকি থাকলেও ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপের শেষ ওভারে যোগিন্দর শর্মাকে বল দেন ধোনি। কারণ, তার আগে ভাজ্জিকে অনায়াসে ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন মিসবা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। একটি ছক্কা হজম করেও যোগিন্দর শেষমেশ মিসবাকে আউট করেন এবং জয় এনে দেন ভারতকে।
সৌরভ ও দ্রাবিড়কে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া: টিম ইন্ডিয়ার দুই কিংবদন্তির ওয়ান ডে ক্রিকেটে সম্মিলত রান প্রায় ২৩ হাজার। তবে স্লো ফিল্ডার হওয়ায় দুই তারকাকে দল থেকে ছেঁটে ফেলেন ক্যাপ্টেন কুল। আপাত দৃষ্টিতে এটা মেনে নেওয়া কঠিন ছিল সন্দেহ নেই। তবে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের মতো ফিল্ডিংকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার সেই প্রচেষ্টাই টিম ইন্ডিয়াকে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফিল্ডিং দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে আসা: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনালে ২৭৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ভারত সচিন, সেহওয়াগ ও কোহলির উইকেট হারিয়ে বসে। তখনও বাকি ছিল ১৬১ রান। ৯১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ধোনিই ভারতকে দ্বিতীয় বারের মতো ওয়ান ডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন।
রোহিতকে ওপেন করতে পাঠানো: রোহিত শর্মা ২০০৭ থেকে ভারতীয় দলের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওপেন করার সুযোদ দেওয়া হলেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি হিটম্যান। পরে ২০১৩ সালে ঘরের মাঠে ধোনি পুনরায় রোহিতকে ওপেনে পাঠান। মোহালিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন রোহতি। তার পর থেকে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।