অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর আগেই ঘোর সমস্যায় আয়োজকরা। করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে নির্বিঘ্নে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম আয়োজনের চেষ্টায় কসুর করা হচ্ছে না। তবে বিস্তর সর্তকতা অবলম্বন করেও করোনার হানা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
প্রায় ১২০০ খেলোয়াড়, স্টাফ ও অফিসিয়ালদের জন্য আয়োজকরা ১৫টি চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে খেলোয়াড়দের মেলবোর্নে উড়িয়ে আনাই উদ্দেশ্য। তবে শুরুতেই বিপত্তি বাধে দু'টি বিমানে করোনা সংক্রমনের ঘটনা সামনে আসায়।
শনিবার দু'টি বিমানে লস অ্যাঞ্জেলেস ও আবু ধাবি থেকে খেলোয়াড়দের উড়িয়ে আনা হয় মেলবোর্নে। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ২৪ জন খেলোয়াড় ও তাদের স্টাফরা মেলবোর্নে আসেন। মোট ৭৯ জন যাত্রী ছিলেন সেই বিমানে। অন্যদিকে, আবু ধাবি থেকে ২৩ জন খেলোয়াড় মেলবোর্নে পা দেন। সেই বিমানে মোট যাত্রী ছিলেন ৬৪ জন। সমস্যা দেখা দেয় দু'টি বিমানের সমস্ত যাত্রী করোনা নেগেটিভ না হওয়ায়।
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে আসা বিমানের এক কর্মী ও একজন যাত্রী, যিনি খেলোয়াড় নন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রমাণিত হন। অন্যদিকে, আবু ধাবি থেকে আসা বিমানের এক যাত্রী করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হন। তিনিও খেলোয়াড় নন। ফলে দু'টি বিমানে মেলবোর্নে আসা ৪৭ জন খেলোয়াড়কেই দু'সপ্তাহের কঠোর কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই ১৪ দিনের মধ্যে অনুশীলন তো দূরের কথা, হোটেল রুমের বাইরে বের হতে পারবেন না খেলোয়াড়রা।
কোয়ারান্টাইন নিয়ে আপত্তি না থাকলেও, বেশ কয়েকজন টেনিস তারকা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনুশীলন করতে পারবেন না বলে।
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে মেলবোর্নে আসে বিমানে পাবলো কুয়েভাস, স্যান্টিয়াগো গঞ্জালেজ, অর্টেম সিটাকরা ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁরা নিজেরাই জানিয়েছেন সেকথা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুয়ায়ী ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা, স্লোয়ান স্টিফেন্স, কেই নিশিকোরিও ছিলেন সেই বিমানে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।