শুভব্রত মুখার্জি: ২০০৮ সালের পরে ২০২২ সাল-- দ্বিতীয়বার আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছেছিল রাজস্থান রয়্যালস দল। শেন ওয়ার্নের নেতৃত্বে সেবার রাজস্থান রয়্যালস দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তবে সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বাধীন রাজস্থান রয়্যালস দলকে সন্তুষ্ট থাকতে হল রানার্স আপ হয়েই। ফাইনালে কোনও কিছুই যেন ঠিক করে হল না রাজস্থানের। ব্যাটিং, বোলিং থেকে ফিল্ডিং সব বিভাগেই তাদেরকে পিছনে ফেলেছিল গুজরাট টাইটানস দল। এমন আবহে আসুন দেখে নেওয়ার চেষ্টা করা যাক ঠিক কী কী কারণে রবিবাসরীয় ফাইনালে গুজরাট টাইটানস দলের বিরুদ্ধে নূন্যতম লড়াইটুকুও দিতে পারল না।
১) টসে জিতে ব্যাটিং:
বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং জানিয়েছিলেন টসে জিতে সঞ্জুদের ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। কারণ চলতি মরশুমে রাজস্থানের সবথেকে বড় শক্তি তাদের ব্যাটিং তাই ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে তাদের টার্গেট সেট করার থেকে টার্গেট তাড়া করাই ঠিক ছিল। বোলিং নয় ব্যাটিংটাই তাদের শক্তি। তার উপর দ্বিতীয় ইনিংসে সবসময় শিশির পড়ার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে বোলারদের বোলিং করার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দল।
২) অত্যধিক জস বাটলার নির্ভরতা:
টপ অর্ডারে অত্যধিক জস বাটলারের প্রতি নির্ভরতা ফাইনালে ভরাডুবির অন্যতম কারণ। চলতি মরশুমে চারটি শতরান করা বাটলার ফাইনালে ৩৯ রান করে আউট হওয়ার পরপরেই কার্যত ভেঙে পড়ে রাজস্থানের ব্যাটিং। মিডল বা লোয়ার মিডল অর্ডারে সেই ব্যাটিংয়ের হাল ধরতে পারেননি কেউ।
৩) হার্দিক এবং রশিদের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে পরিকল্পনার অভাব:
গুজরাটের এই দুই বোলারের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে ডুবতে হয়েছে রাজস্থানকে। দুই বোলার তাদের আট ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৩৫ রান। নিয়েছেন ৪টি উইকেট। যার মধ্যে রয়েছে জস বাটলার, সঞ্জু স্যামসন, শিমরন হেতমায়ের এবং দেবদূত পাডিক্কালের উইকেট। ফলে বলা ভালো গোটা টপ অর্ডারকে রাজস্থান হারিয়েছে আর পাশাপাশি রান করতে পেরেছে মাত্র প্রতি ওভার সাড়ে চার গড়ে। ফলে কার্যত এখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছে তারা।
৪) ফিনিশার রিয়ান পরাগের ধারাবাহিকতার অভাব:
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পরেও রাজস্থান ২০ ওভারে ১৩০ রান করতে সমর্থ হয়েছিল। শেষের দিকে দলের হয়ে ফিনিশারের ভূমিকায় খেলা রিয়ান পরাগ যদি একটু ভাল ব্যাটিং করতে পারতেন তাহলে স্কোরবোর্ডে আরও ২০-২৫ রান যোগ হতে পারত। রিয়ানের ১৫ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যাওয়া। তার ব্যাটে ধারাবাহিকতার অভাব ফাইনালে ভুগিয়েছে রাজস্থানকে।
৫) অফ স্পিনার অশ্বিনের অফ ফর্ম:
ফাইনালে যুজবেন্দ্র চাহাল দূরন্ত বোলিং করেন। হার্দিকের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটিও নিয়েছিলেন তিনি। তবে অপর প্রান্ত থেকে ব্যাটারদের উপর কোনওরকম চাপ তৈরি করতে পারেননি অভিজ্ঞ অফ স্পিনার রবি অশ্বিন। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে ব্যাটারদের হাতে ঠেঙানিও খেতে হয়েছে তাকে। দলের ডাইরেক্টর অফ ক্রিকেট কুমার সাঙ্গাকারাও কার্যত ঘুরিয়ে সেকথা মেনে নিয়েছেন। ফলে ফাইনালে গুজরাট ব্যাটারদের উপর কোনও রকম চাপ তৈরি হয়নি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।