মহেন্দ্র সিং ধোনি সাধারণত বিতর্কে বা কোনও ঝুট-ঝামেলায় থাকতে পছন্দ করেন না। কিন্তু তিনি যে জায়গায় রয়েছেন, সেখানে বিতর্ক তাঁকে স্পর্শ করবে না, এমনটা হতেই পারে না! এ বার তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ যুবরাজ সিং তাঁকে টেনেই বিতর্কের জন্ম দিলেন।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুবরাজ সিং-এর বদলে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল ধোনির হাতে। আর সেই প্রসঙ্গে এ বার সরব হলেন যুবি। এর আগে এই নিয়ে যুবরাজের বাবা যোগরাজ সিং-ও সরব হয়েছিলেন।
যুবরাজ জানিয়েছেন, তিনি ভেবেছিলেন ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অধিনায়কের দায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হবে। কিন্তু সে রকম কিছুই হয়নি। তাঁর বদলে ধোনিকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। একটি সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেছেন, ‘ভারত শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ (২০০৭) হেরে গিয়েছিল, তাই তো? তার পর ভারতীয় দলে ডামাডোল চলছিল। সেই সময়ে আবার দু'মাসের ইংল্যান্ড সফর ছিল। এর পরে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার জন্য এক মাসের সফর করতে হয়েছিল। তার পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য হাতে এক মাস সময় ছিল। যেটা হয়েছিল, তাতে প্রায় ৪ মাস বাড়ি থেকে দূরে ছিল সবাই।’
এর সঙ্গেই যুবরাজ যোগ করেছেন, ‘যে কারণে সিনিয়ররা বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন। এবং কেউই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সে ভাবে গুরুত্ব দেয়নি। যে কারণে আমি আশা করেছিলাম, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হয়তো আমাকেই অধিনায়ক করা হবে। কিন্তু এমএস ধোনির নাম ঘোষণা করা হয়।’
এর পরেও ধোনির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ কি ঠিকঠাক ছিল? এর উত্তরে যুবরাজ বলেছেন, ‘অবশ্যই ঠিক ছিল। যে-ই অধিনায়ক হোক না কেন, তাকে সমর্থন করতেই হবে। সেটা রাহুল দ্রাবিড় হতে পারে, সেটা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হতে পারে, যে কেউ হতে পারে। দিনের শেষে সবাই দলেরই একজন হয়ে উঠতে চায়, আমিও সেটাই চেয়েছিলাম।’
সেই বছরই অধিনায়ক ধোনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করে ভারতকে। এর পর আর মাহিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১১ সালেও ধোনির অধিনায়কত্বেই ৫০ ওভারের বিশ্বকাপও জেতে ভারত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।