২৪ এপ্রিল ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য এক বিশেষ দিন। কারণ ২৪ এপ্রিল মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের জন্মদিন। তাই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধুই সচিনের ছবি এবং ভিডিয়ো। ভক্তরা তাঁকে নিজ ভঙ্গিমায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রাক্তন থেকে বর্তমান ক্রিকেটাররাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এবার ৫০ বছরে পা দিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। তাঁর এই ৫০ বছরের জন্মদিনে বিশেষ উদ্যোগ নিল অজি ক্রিকেট বোর্ড। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের একটি গেটের নামকরন করা হল সচিন তেন্ডুলকরের নামে। শুধু সচিন তেন্ডুলকর নয়, পাশাপাশি আরও এক কিংবদন্তিও সেখানে ঠাই পেয়েছেন। তিনি হলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। এই দুই কিংবদন্তির নামে সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এই গেটের নামকরণ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে লিখে দেওয়া হয়েছে সিডনিতে তিনি কত রান করেছেন। আর সেই ছবি সবার সামনে এনেছে অজি ক্রিকেট বোর্ড। যা হয়ত স্বয়ং মাস্টার ব্লাস্টারও ভাবতে পারেননি। নিজের ৫০তম জন্মদিনে এমন এক উপহার পাবেন। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তিনিও। ব্যাট হাতে একের পর এক বোলারের বলকে মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, অর্ধশতরান করা ছিল তাঁর কাছে খুবই সহজ ব্যাপার। এবার নিজের জীবনের হাফসেঞ্চুরি করলেন এই মুম্বইকর।
শুধু ভারতের মাটিতেই নয়, দেশের বাইরেও নিজের দাপট বজায় রেখেছেন তিনি। অনেক বড় মাপের বোলাররা তাঁকে ভয় পায়। ব্যাট হাতে তিনি নামলে যে এখনও বড় রান করার ক্ষমতা রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার নিজের ৫০তম জন্মদিনে অজি ক্রিকেট বোর্ডের থেকে বিশেষ উপহার পেলেন তিনি। সিডনিতে তিনি কতগুলি ম্যাচ খেলে কত রান করেছেন, তাও লেখা রয়েছে সেই ফলকে। সিডনিতে মাস্টার ব্লাস্টার মোট ৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৭৮৫ রান করেন। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ২৪১। গড় ১৫৭ রান। এছাড়াও তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি কতগুলি টেস্ট ম্যাচ খেলে কত রান করেছেন তাও লেখা রয়েছে সেই ফলকে। এই কিংবদন্তি মোট ২০০ ম্যাচ খেলে ১৫,৯২১ রান করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সর্বোচ্চ রান করেছেন অপরাজিত ২৪৮। তাঁর গড় ৫৩.৭৮।
অজি ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে এই সম্মান পেয়ে আপ্লুত মাস্টার ব্লাস্টারও। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, 'আমার অন্যতম পছন্দের স্টেডিয়ামে এমন সম্মান পেয়ে গর্বিত। আমার খুব ভালো বন্ধুর সঙ্গে আমি স্থান পেয়েছি। সত্যি খুব ভালো লাগছে। আমাকে সম্মান জানানোর জন্য খুবই গর্বিত।'
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে কিছু দূরে এই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। সেই মাঠটা আমার খুবই প্রিয়। ১৯৯১ থেকে ৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ার আমার প্রথম সফর থেকে এসসিজিতে আমার কিছু দুর্দান্ত স্মৃতি রয়েছে। এছাড়াও এখানে আমার ভালো বন্ধু ব্রায়ানের নামেও একটি গেট করা হয়েছে। মাঠে প্রবেশের জন্য এই গেটগুলি সমস্ত ক্রিকেটারদের ব্যবহার করতে হবে যা অত্যন্ত সম্মানের। আমি এসসিজি এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ তাদের এত সুন্দর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আমি চেষ্টা করব খুব শীঘ্রই সেটা পরিদর্শন করতে।’
লারা এই গেট নামরকণ নিয়ে বলেন, ‘আমি একজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আমি স্বীকৃতি পেয়ে খুবই সম্মানিত। কারণ এই মাঠটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য অনেক স্মৃতি বহন করে। আর আমি আশা করি সচিনও ঠিক তেমনটাই মনে করে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।