মহিলাদের মুখ এবং শরীর সব সময় ঢাকা থাকে না ক্রিকেটে। তাই সেটা নাকি ইসলামে মান্য নয়। সে কারণেই মহিলাদের ক্রিকেটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবানরা। শুধু ক্রিকেট নয়, যে কোনও খেলাধূলাতেই মহিলাদের অংশ গ্রহণের উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে আফগানিস্তানে।
তবে তালিবানদের এই অদ্ভূত যুক্তি নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। প্রতিবাদে মুখর হয়েছে গোটা বিশ্ব। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তো পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, মহিলাদের ক্রিকেট নিয়ে যে দেশ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাদের সঙ্গে কোনও দেশেরই ক্রিকেট খেলা উচিত নয়। এমন কী অস্ট্রেলিয়া কোনও ভাবেই আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলবে না। নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরেরও অনুমতি দেওয়া হবে না আফগানিস্তানকে। সব দেশের কাছে অস্ট্রেলিয়া অনুরোধ করেছে, যেন আফগানিস্তানকে ব্রাত্য করা হয়।
গোটা বিশ্বের ক্ষোভ দেখে অবশ্য আফগানিস্তান ক্রিকেট তাদের সিদ্ধান্তে বদল আনার কথা বলেছে। তবে সেটা একেবারেই তালিবানদের ভাবনার বিরুদ্ধে গিয়ে। তালিবানদের কট্টর নীতির কথা মাথায় রেখেই আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার এক ব্রডকাস্টারের কাছে দাবি করা হয়েছে, তারা মহিলাদের ক্রিকেট খেলার ছাড়পত্র দেবে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিজুল্লাহ ফজলি বলেছেন, গভর্নিং বডি খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেবে, কী ভাবে এই বিষয়টি কার্যকর করা হবে। ২৫ জনের মহিলা ক্রিকেটারদের যে দলটি ছিল, তাঁরা আফগানিস্তানেই রয়ে গিয়েছে। আফগানিস্তান ছেড়ে কেউই যাননি। দেশের অনেক নাগরিকই আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তবে এই ২৫ জন মহিলা ক্রিকেটার এখনও আফগানিস্তানেই রয়েছেন।
একটি রেডিও স্টেশনে আজিজুল্লাহ ফজলি দাবি করেছেন, ‘আমরা কী ভাবে মেয়েদের ক্রিকেটকে ছাড়পত্র দেব, সেটা খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেব। খুব তাড়াতাড়ি আমরা ভাল খবর দেব।’ তবে তাঁর এই মন্তব্য কিন্তু তালিবান সাংস্কৃতিক কমিশনের উপ-প্রধান আহমদুল্লাহ ওয়াসিকের বিরোধী। যিনি বুধবার এই একই রেডিও স্টেশনে বলেছিলেন, মহিলাদের খেলাধুলার কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁদের কাজ সন্তানের জন্ম দেওয়া।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।