আবেগতাড়িত হন। তবে তার বহিঃপ্রকাশ সচরাচর দেখা যায়নি। পরিস্থিতি বুঝে মাপা পদক্ষেপ সচিন তেন্ডুলকরের ক্রিকেটার জীবনের অন্যতম অঙ্গ ছিল। বিশ্বকাপ জয়ের পর যে সচিনকে দেখা গিয়েছিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে, তার সঙ্গে বাকি কেরিয়ারের তেন্ডুলকরের ফারাক ছিল আকাশ-পাতাল। এমন অচেনা সচিনকে আগে কখনও দেখেননি তাঁর দীর্ঘদিনের সতীর্থরাও।
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের ৯ বছর পর বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য হরভজন সিং হদিশ দিলেন সচিনের সেই অচেনা দিকটার। ভাজ্জি জানান, সেই প্রথম তিনি সকলের সঙ্গে নাচতে দেখেন মাস্টার ব্লাস্টারকে। সেদিন কার্যত সকলের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলেন তেন্ডুলকর।
সচিন নিজেই গর্বের সঙ্গে বলেন যে, তাঁর কেরিয়ারের সব থেকে স্মরণীয় মুহূর্ত বিশ্বকাপ জয়। সেই মুহূর্তটা কীভাবে উপভোগ করেছিলেন তিনি, তা জানা গেল হরভজনের কথায়। ভাজ্জি বলেন, 'সেদিনই আমি প্রথমবার সচিনকে নাচতে দেখি। সম্ভবত প্রথমবার আশেপাশে কারা রয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও মাথা ব্যথা ছিল না ওর। সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছিল সচিন, যেটা আমি কখনও ভুলব না।
সর্দার এটাও জানান যে, একা সচিনই নন, সেদিন দলের সবাই যারপরনাই আবেগতাড়িত ছিলেন। সম্ভবত সেদিনই তিনি প্রথমবার প্রকাশ্যে কেঁদেছিলেন। ভাজ্জি বলেন যে, সেই রাতে বিশ্বকাপ জয়ের মেডেল গলায় ঝুলিয়েই ঘুমোতে গিয়েছিলেন তিনি। সকালে উঠে যখন প্রথমেই মেডেলটায় চোখ পড়ে, কেমন মনে হয়েছিল, সেই অনুভূতি বর্ণনা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।