ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ইন্দোরে। আর সেই টেস্টে আড়াই দিনেরও কম সময়ে শেষ হয়ে যায়। প্রথম দুই টেস্টে জেতার পর সেই ম্যাচ হারতে হয় ভারতকে। আর সেই ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে অজিরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেয়। সেই ইন্দোর ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই বল এত ঘুরতে থাকে যে ভারতীয় ব্যাটাররা সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারেননি অজি বোলারদের সামনে। একই অবস্থা হয় স্টিভ স্মিথদেরও। কিন্তু সেই ম্যাচ জিতে নেয় অজিরা।
আর এই ম্যাচের পরই ইন্দোরের পিচ নিয়ে উঠে যায় একাধিক প্রশ্ন। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা এই পিচ নিয়ে সমালোচনা করতে থাকেন। ঠিক তারপরই ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি আইসিসিকে পিচ রিপোর্ট জমা দেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আইসিসি ইন্দোরের পিচকে নিম্নমানের ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে তিন ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়।
আইসিসির নির্দেশের বিরোধিতা করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে বিসিসিআই। এই চ্যালেঞ্জের পর নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয় আইসিসি। ইন্দোর টেস্টের ফুটেজ ভালো করে পরীক্ষা করে দেখেন আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান এবং আইসিসি পুরুষদের ক্রিকেট কমিটির সদস্য রজার হার্পার। তারা ভালো করে সেই পিচের ফুটেজ দেখার পর জানান, এই পিচে খুব একটা বেশি অস্বাভাবিক বাউন্স ছিল না। যা ম্যাচ রেফারির রিপোর্টে বলা হয়নি। তবে আইসিসির প্যানেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোরের পিচ মাঝারি মানের ছিল। ফলে যে তিন ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল। তার বদলে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই বিসিসিআই চ্যালেঞ্জের পর আইসিসির এই সিদ্ধান্ত বদল কিছুটা হলেও চাপমুক্ত করল মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাকে। অন্যদিকে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনই মোট ১৪টি উইকেট পতন ঘটে। আড়াই দিনে মোট ৩১টি উইকেটের পতন ঘটে দুই দল মিলিয়ে। যার মধ্যে ২৬টি উইকেট নেন স্পিনাররা। প্রথম দিন থেকেই বল এতটাই ঘুরতে থাকে যে, ব্যাটাররা ল্যাজে গোবরে হয়ে যান। এমনকী অনেকেই ইন্দোরের প্রথম দিনের পিচের চরিত্র দেখে তৃতীয়, চতুর্থ দিনের পিচের সঙ্গে তুলনা করেন। এতটাই বল টার্ন করে প্রথম দিন। অবশ্য সেই ম্য়াচ অজিরা জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জায়গা করে নিলেও ভারতরে অপেক্ষা করতে হয় আমদাবাদ ম্যাচ জন্য। অবশ্য নিউজিল্যান্ড দল শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভারতে বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে দেয়।