উইম্বলডনের মঞ্চে দুই প্রতিপক্ষ নিজেদের মধ্যে গলা ফাটিয়ে ঝামেলা করছেন, এমন ঘটনা মনে করা খুবই কঠিন। কিন্তু এ বার উইম্বলডন সে রকম ঘটনারও সাক্ষী থাকল। শনিবার জেলেনা অস্টাপেঙ্কো বনাম আজলা টমলানোভিচের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে দুই প্লেয়ার উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের গলার আওয়াজ ক্যামেরাতেও স্পষ্ট শোনা গিয়েছে। ঝামেলা এমন পর্যায়ে গিয়েছিল, তাঁদের থামাতে আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
শনিবার জেলেনা অস্টাপেঙ্কো বনাম আজলা টমলানোভিচের ম্যাচ চলছিল। প্রথম সেট অস্টাপেঙ্গা জিতলেও, দ্বিতীয় সেট থেকে ছন্দে ফেরেন টমলানোভিচ। তৃতীয় সেটেও একটা সময়ে ৪-০ গেমে এগিয়ে ছিলেন টমলানোভিচ। সে সময়ে চোটের কথা বলে অস্টাপেঙ্কো চিকিৎসার জন্য ‘মেডিক্যাল টাইম-আউট’-এর অনুরোধ করেন। তখন টমলানোভিচের সার্ভিস ছিল। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষুব্ধ হন টমলানোভিচ। কারণ টমলানোভিচের মনে হয়েছিল, তাঁর ছন্দ নষ্ট করতেই অস্টাপেঙ্কো এই অজুহাত দিচ্ছেন। তিনি আম্পায়ারকে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আপনি কেন বুঝতে পারছেন না, ও মিথ্যে কথা বলছে।’
এখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। অস্টাপেঙ্কোও পাল্টা বলেন, ‘আমি বাহনা দিচ্ছি এ কথা মনে হল, তুমি আমার ফিজিও-কে গিয়ে জিজ্ঞেস করো। তোমার ব্যবহার খুব খারাপ। প্রতিপক্ষকে শ্রদ্ধাটুকুও করো না।’ থামেননি টমলানোভিচও। তিনিও বলেন, ‘তোমার মুখে এই সব কথা একেবারে মানায় না।’
এত ঝামেলার পরেও কিন্তু ম্যাচটি জিতে যায় টমলানোভিচই। খেলার ফল হয় ৪-৬, ৬-৪, ৬-২। অস্টাপেঙ্কো একেই ম্যাচটি হেরেছেন, তার উপর আবার টমলানোভিচের অপমান। দু'টো মিলিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে অস্টাপেঙ্কো বলেন, ‘চোট যে কারও হতে পারে। ও জিতছিল বলে এই নয়, যাকে যা খুশি বলতে পারে! মহিলা টেনিস প্লেয়ারদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ও। অভদ্র আচরণ ওর।’