একবার ক্ষীণ সম্ভাবনা জেগে ওঠে তো পরক্ষণেই সব সম্ভাবনা শেষ বলে মনে হয়।আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গেলের আইএসএল খেলা নিয়ে এরকমই দোলাচলতা চলছে সমর্থকদের মনে। যদিও এক্ষেত্রে অশার থেকে আশঙ্কাই বেশি বলে মনে হচ্ছে ক্রমশ।
স্পোর্টিং রাইটস নিয়ে জটিলতা কেটে যাওয়া, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তৎপর হয়ে ওঠা প্রভৃতি দেখে লাল-হলুদ সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন যে, হয়ত মোহনবাগানের মতো এবারই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দেখা যাবে ইস্টবেঙ্গলকেও। তবে ঠিক তার পরেই এফএসডিএলের তরফে নতুন দল না নিতে চাওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়ায় ফের হতাশ হতে হয় তাদের।
লাল-হলুদ কর্তারা আইএসএলের দরজা খোলা রয়েছে বলে পুনরায় আশ্বাস দিলে নিতান্ত ক্ষীণ আশার আলো দেখা যায় বটে, তবে ১০ অগস্টের পর সেই আশার আলোটাও নিভে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
আসলে ১০ অগস্ট ছিল আইএসএলের জন্য আয়োজক সংস্থার কাছে দলগুলির জার্সির নকশা জমা দেওয়ার শেষ দিন। অংশগ্রহণকারী ১০টি দল হোম, অ্যাওয়ে ও নিরপেক্ষ, এই তিন ধরণের জার্সির রং ও নকশা জমা দিলেও সেই তালিকায় নেই ইস্টবেঙ্গলের নাম। অথচ কিছুদিন আগে ইস্টবেঙ্গল সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকদের কাছ থেকে জার্সির নকশা চাওয়ায় মনে করা হচ্ছিল বুঝি আইএসএলের নতুন মরশুমের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছন ক্লাব কর্তারা।
আসলে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে স্পনসর না থাকা। নতুন বিনিয়োগকারীর খোঁজ পেলেও ক্লাব বেশ কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে না পারায় থমকে রয়েছে চুক্তি। এদিকে দিন যত গড়িয়ে চলেছে, লাল-হলুদের এবারের মতো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ খেলার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।