আগামী দুই বছর পর থেকেই যে আইলিগের বিজয়ী দল সরাসরি আইএসএলে খেলতে পারবে, সেই আশ্বাস দিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডেরেশন। এছাড়াও ২০২৪ মরশুম থেকে আইসিএলে অবনমন শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
এবছর আইএসএলে অতিরিক্তি একটি দল নেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই বিড পেপার ছেড়েছে সংগঠন এফএসডিএল। আইএলএল ও আইলিগের মধ্যে যে দুই বছরের মধ্যেই সুস্পষ্ট সম্পর্ক তৈরী হবে সেই নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন এআইএফএফ-এর সাধারণ সম্পাদক কুশল দাস। ২০২৪-২৫ থেকে যে কোনও অন্য লিগের মতোই অবনমন ও উত্তোরণ থাকবে আইসিএলে। এই বিষয় সব স্টেকহোল্ডার একমত বলে জানান তিনি। তার আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালে আইলিগের বিজয়ীরা সুযোগ পাবে আইসিএলে। অর্থাৎ ক্রমশই বাড়বে এই লিগে দলের সংখ্যা।
ইস্টবেঙ্গল যে বিনিয়োগকারী পেয়েছে তাতে খুশি ব্যক্ত করেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগাল আইএসএলে খেলবে, এটা ভারতীয় ফুটবলের সামনের দিনের রোডম্যাপের ভিত্তি বলে জানান এআইএফএফ কর্তা। তিনি জানান যে ২০২৪ থেকে আইএসএলে সবচেয়ে নিচে দলটি চলে যাবে আইলিগে। অন্যদিকে আইলিগের বিজয়ী আসবে আইএসএলে।
কুশল দাস বলেন যে মোহনবাগান এটিকে-র সঙ্গে একজোটে আইএসএলে আসার পর এটা খুবই প্রয়োজন ছিল যে ইস্টবেঙ্গলও চলে আসে। সেটা সম্ভব হওয়া দারুন খবর বলে জানান তিনি। ঐতিথ্যকে কখনো অস্বীকার যায় না বলে কুশলবাবু বলেন যে এতে ক্লাবগুলির উপকার হল ও লিগটিও আরো জমে গেল।
তবে তিনি জানান যে অনেকে বহু বছর ধরে চেষ্টা করে এই দুই দলকে আইএসএলে এনেছেন। এর জন্য এশিয়ান ফুটবল কনফারেডেশনের সঙ্গেও শলা পরামর্শ করতে হয়েছে বলে তিনি জানান।
কুশলবাবু জানান যে তাদের হিসাব মতো ২০২১ সাল থেকে দুই প্রধান আইএসএলে খেলার কথা ছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল যে দ্রুত ইনভেস্টর পেয়ে আইএসএলে আসতে পারছে, তাতে খুশি চাপতে পারেননি তিনি। আনুষ্ঠানিক ভাবে যদিও এখনও আইএসএলে আসেনি ইস্টবেঙ্গল। সবে বিড পেপার প্রকাশ করেছে এফএসডিএল। কিন্তু লাল-হলুদের আইএসএলে অভিষেক যে নেহাতই সময়ের অপেক্ষা, কুশল দাসের কথাতেই তা স্পষ্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।