পারথ স্করচার্সের ফাস্ট বোলার অ্যান্ড্রু টাই শনিবার বিগ ব্যাশ লিগের ফাইনালে ব্রিসবেন হিটের বিপক্ষে তাঁর ৩০০তম টি-টোয়েন্টি উইকেট তুলে নেন। প্রথম ইনিংসের ২০তম ওভারে জেমস বাজলিকে আউট করার সঙ্গে সঙ্গে টাই এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। এই উইকেটটি পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার দ্রুততম ৩০০টি টি-টোয়েন্টি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েন। সেই সঙ্গে তিনি ভেঙে দেন রশিদ খানের নজির।
রশিদ ২১৩তম ম্যাচে এই মাইলস্টোন স্পর্শ করেছিলেন। অন্য দিকে টাই ২১১টি ম্যাচে ৩০০ উইকেটের ল্যান্ডমার্কে পৌঁছে গেলেন। তারকা আফগান লেগ-স্পিনারের থেকে দু'টি ম্যাচ কম খেলেই এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন টাই।
২০১৪ সালে অভিষেকের পর থেকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে নজর কেড়েছেন। তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) খেলেছেন। গত বছর তিনি লখনউ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি) টিমের অংশ ছিলেন এবং তিনটি ম্যাচে তিনি দু'টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। সামগ্রিক ভাবে টাই ৩০টি আইপিএল ম্যাচ খেলে তিন বার চার উইকেট সহ মোট ৪২টি উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ওরা মানসিক ভাবে বিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা করে- স্মিথকে পাল্টা দিলেন অশ্বিন
শনিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ব্রিসবেন হিট। জোশ ব্রাউন ১২ বলে ২৫ রান করে হিটের শুরুটা ধামাকাদার ভাবেই করেন। তবে ডেভিড পেইনের বলে তাঁকে দ্রুত সাজঘরে ফিরতে হয়। অ্যান্ড্রু টাই তাঁর ক্যাচ ধরেন। এর পর স্যাম হেজলেট এবং নাথান ম্যাকসুইনি দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ বলে ৭৯ রানের একটি দুরন্ত ইনিংস খেলেন।
তবে হেজলেটের আউটটা বড় ধাক্কা হয়ে যায় ব্রিসবেন হিটের কাছে। ৩০ বলে ৩৪ রান করে জেসন বেহরেনডর্ফের বলে ডেভিড পেইনকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হেজলেট। ম্যাকসুইনিও ৩৭ বলে ৪১ রান করে অ্যারন হার্ডির বলে ব্যানক্রাফটের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এ ছাড়া ম্যাক্স ব্রায়ান্ট ৩১ এবং স্যাম হ্যান ২১ করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি।
আরও পড়ুন: সব পরিস্থিতিতেই অজি ফাস্ট বোলাররা ভয়ঙ্কর- ভারতীয় স্পিনকে পাল্টা হুমকি কামিন্সের
নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করে ব্রিসবেন হিট। পারথরে জেসন বেহরেনডর্ফ এবং ম্যাথু কেলি ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা কিছুটা নড়বড়ে হয়েছিল পারথ স্করচার্সের। ৭.৫ ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা চাপে পড়ে যায়। সেই সময়ে রানরেট প্রায় দশের আশোপাশে ঘোরাফেরা করছিল। তবে অ্যাশটন টার্নারের দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি পারথকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দেয়। বড় বিষয় হল, পারথ স্করচার্সের যে ক'জন ব্যাট করতে নেমেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অন্তত দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন। তার মধ্যে অ্যাশটনের ৩২ বলে ৫৩ রান সর্বোচ্চ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং তিনটি ছয়।
পারথের অধিনায়ককে ভরসা দেন জোশ ইংলিশ। তিনি ২২ বলে ২৬ রান করেন। এ ছাড়া স্টিফেন এসকিনাজি ১৯ বলে ২১ এবং কুপার কনোলি ১১ বলে ২৫ রান করেন। এ ছাড়া নিক হবসনের ৭ বলে ১৮ রানও পারথকে ম্যাচ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে পারথ। ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে পঞ্চম বার শিরোপা জেতে পারথ স্করচার্স।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।