জীবনে তাঁর একটাই সঙ্গী। সেটা হল ফুটবল। ফুটবলেরর সঙ্গে তিনি যে কবে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন, নিজেও এখন আর মনে করতে পারেন না। ভাল সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু সব টাকাই ফুটবলের পিছনে শেষ হয়ে যায়। নিজের জন্য কিছুই করা হয়ে ওঠে না আলোকেশ কুণ্ডুর। এমনই এক ফুটবল পাগল ক্লাব কর্তাকে সোমবার সম্মান জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দীপক দাস, যিনি ময়দানে পল্টু দাস বলে বেশি পরিচিত, তাঁর মৃত্যু দিবসে আলোকেশ কুণ্ডুকে সংবর্ধিত করেন লাল-হলুদ কর্তারা। বাংলার ফুটবলে তাঁর অবদানের জন্য।
অত্যন্ত সাধারণ চেহারার ফুটবল পাগল মানুষটাকে দেখলে কেউ বলবেই না, তিনি বড় সরকারি চাকরি করেন। ইউনাইটেড স্পোর্টসের মতো ক্লাবের সাধারণ সচিব। ময়দানের সকলের কাছে ‘আলোদা’ অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ। নিজের সবটুকু সঞ্চয় দিয়ে বাংলার ফুটবলের জন্য, ফুটবলারদের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবার বলতে শুধু মা রয়েছেন। বাকি সবটা জুড়ে শুধুই ফুটবল।
এদিন সংবর্ধনা দেওয়ার পাপাশি আলোকেশ কুণ্ডর হাতে ২৫ হাজার টাকাও তুলে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই টাকা তিনি ইস্টবেঙ্গলেরই মালিদের জন্য দান করলেন। ফুটবলের সার্বিক উন্নতি ছাড়া অন্য কিছুই যে আর ভাবতে পারেন না আলোদা। ফুটবলের জন্য বহু বার কখনও আইএফএ, কখনও এআইএফএফ-র সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন। নবাব ভট্টাচার্য আর আলোকেশ কুণ্ডু মিলে ইউনাইটে়ড স্পোর্টসের মতো দল তৈরি করেছিলেন। আই লিগের মঞ্চে যে দলের লড়াইয়ের কথা কারও বোধহয় অজানা নয়। বর্তমান ভারতীয় দলের বহু ফুটবলারই এই ক্লাব থে্কেই উঠে এসেছেন। পরিকাঠামো না থাকার নিয়মের অজুহাতে আই লিগ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইউনাইটেড স্পোর্টসকে। কিন্তু নতুন করে আবার লড়াই চালাচ্ছেন আলোকেশ আর নবাব। ভারতীয় ফুটবলে হয়তো আবার একদিন তাঁরা অন্য ইতিহাস লিখবেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।