আগেরবারের মতো দেরি হয়নি। তবে বিরাট কোহলি টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) যে কর্তারা প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন, তাঁদের অধিকাংশই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বোঝাতে চেয়েছেন, সিদ্ধান্তটা একান্তভাবে কোহলির ছিল। বোর্ডের তরফে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।
শনিবার সন্ধ্যায় কিছুটা আচমকাই ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বিরাট। কী কারণে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন, তা অবশ্য জানাননি। তবে সেই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল দাবি করেন, টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার জন্য বিরাটের উপর কোনওরকম চাপ তৈরি করেনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ড। চাপ তৈরি করেননি নির্বাচকরা। পুরোটাই একান্তভাবে বিরাটের সিদ্ধান্ত। বিরাট অনায়াসে আরও দু'তিন বছর টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে পারতেন বলে দাবি করেন বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ।
প্রাথমিকভাবে বিরাটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বোর্ডের সভাপতি সৌরভ। রাতের দিকে তিনি একেবারে সরাসরি দাবি করেন, বিরাট যে টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়েছেন, তাতে বোর্ডের কোনও ভূমিকা নেই। সৌরভ বলেন, ‘বিরাটের নেতৃত্বে সব ফর্ম্যাটেই দ্রুত উন্নতি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট। এটা ওর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং বিসিসিআই তার এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সম্মান করে। ভবিষ্যতে এই দলকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দুর্দান্ত খেলোয়াড় (বিরাট)।’
সৌরভের সেই মন্তব্যের পরই একটি মহলের প্রশ্ন, বিরাট যে নিজে থেকে সরে গিয়েছেন, তা 'প্রমাণে' কি মরিয়া উঠেছেন বোর্ড কর্তারা? একদিনের ক্রিকেটে বিরাটকে অধিনায়কত্ব সরিয়ে দেওয়ায় যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেজন্য কি সেই কৌশল নেওয়া হয়েছে? যদিও সৌরভদের মন্তব্যের পরও নেটিজেনদের একাংশের তোপের মুখে পড়েছে ভারতীয় বোর্ড। তাঁদের দাবি, ভারতের সবথেকে সফল টেস্ট অধিনায়ককে সরানোর মূলে আছেন সৌরভ, বোর্ড সচিব জয় শাহরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।