সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার ট্রোল নিয়ে মুখ খুললেন আর্শদীপ সিং। কোনও সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া বা সাংবাদিক বৈঠকে নিজের মনে কথা প্রকাশ না করলেও বাবা ও মা'কে স্পষ্টভাবে আর্শদীপ জানিয়েছেন, স্রেফ হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন এসব কুরুচিকর মেসেজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোল।
সোমবার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে চণ্ডীগড়ে অবতরণের পর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে আর্শদীপের বাবা দর্শন বলেন, ‘বিমানে ওঠার আগে আর্শদীপের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ও স্পষ্টভাবে বলল যে এইসব টুইট এবং মেসেজে আমি হাসছি। আমি এই বিষয়টা থেকে শুধুমাত্র ইতিবাচক দিকটা গ্রহণ করব। এরকম ঘটনা আমার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলবে।’ সেইসঙ্গে আর্শদীপের মা বলজিৎ বলেছেন, 'আর্শদীপ বলেছে যে পুরো ভারতীয় দল ওর পাশে আছে।'
রবিবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আসিফ আলির সহজ ক্যাচ ফস্কান আর্শদীপ। ভারতীয় তরুণ এতটাই হেলতে-দুলতে ক্যাচটা ধরতে যান যে বল হাতে পড়ে বেরিয়ে যায়। যে ক্যাচটা ধরলে ম্যাচের রং পালটে যেতে পারত। আসিফ ঝোড়ো ইনিংস খেলে যান। যা পাকিস্তানের জয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্শদীপের ছবিতে কুরুচিকর কমেন্ট করা হচ্ছে।
সেই ঘটনায় হরভজন সিং, বিরাট কোহলির মতো অনেকেই আর্শদীপের পাশে দাঁড়ালেও একজন তরুণ ক্রিকেটারের মানসিক অবস্থা কী হতে পারে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন অনেকেই। তবে বাবা, মা'কে আর্শদীপ যে কথা বলেছেন, তা থেকেই প্রমাণিত যে তিনি কতটা দৃঢ় মানসিকতার ছেলে। যে প্রমাণ আগেও দিয়েছেন আর্শদীপ। আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের জার্সিতে কঠিন ওভার বল করেছেন। ভারতীয় দলেও সেটা করছেন ২৩ বছরের আর্শদীপ।
তারইমধ্যে আর্শদীপের বাবা বলেছেন, 'অভিভাবক হিসেবে বিষয়টা খুব খারাপ লাগছে। ওর বয়স মাত্র ২৩। ট্রোলিং নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। আপনি কখনও সকলের মুখ বন্ধ করতে পারবেন না। সমর্থকরা ছাড়া কোনও খেলা হয় না। যাই হয়ে যাক না কেন, কেউ কেউ সবসময় (খেলোয়াড় বা দলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন)। কেউ কেউ আবার একটি ম্যাচে হারও বরদাস্ত করতে পারেন না। কিন্তু দিনের শেষে একটি দলই জিততে পারে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।